বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের আটক করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ধৃতরা সকলেই বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত বলেই খবর। ঘটনার জড়িত অন্যদের খোঁজে চলছে তদন্ত।
ভোটের আগে থেকে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে আসছিল। একাধিক ইস্যুতে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল তুফানগঞ্জও। ৪ মে তুফানগঞ্জের কিলাখানা এলাকায় ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার হয় শাহিনুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, টাকা দাবি প্রতারকের]
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ (Tufanganj) থানার পুলিশ। পুলিশের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল করার অপরাধেই ৪ মে কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সময়ই খুন করা হয় শাহিনুরকে। এরপর তাঁর দেহ ভুট্টা খেতে ফেলে যাওয়া হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করেছে ওই যুবককে। হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে নেমে কিছুদিন আগেই তুফানগঞ্জ গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কথা বলেছিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হয়। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। রবিবার ধৃতদের তোলা হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতে। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।