সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলি হানায় অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। শনিবার ইজরায়েলি ফৌজের জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৪২ জন। ইজরায়েলের দাবি, হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু মিসাইল আছড়ে পড়ে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরের উপর। উল্লেখ্য, শুক্রবার ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরের দিনই প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন।
ইজরায়েলি ফৌজের তরফে জানানো হয়, হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাদ সাদকে নিকেশ করার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয়। সেই জন্য গাজার (Gaza) শাতিতে অবস্থিত হামাস ঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়। কিন্তু হামাস ঘাটির পরিবর্তে একটি মিসাইল আছড়ে পড়ে আল শাতি শরণার্থী শিবিরে। সেখানে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইজরায়েলি ফৌজের ছোড়া অপর মিসাইলটি পড়ে টুফা এলাকায়। সেখানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিট-পিজিরও কি প্রশ্নফাঁস? পরীক্ষা স্থগিতের কারণ নিয়ে তুঙ্গে চর্চা, খোঁচা রাহুলের]
গাজার বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইজরায়েলি (Israel) সেনার হামলায় নিকেশ হয়েছেন হামাস নেতা সাদ। কিন্তু ইজরায়েল বা হামাসের তরফে এই নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, পরপর দুদিন ইজরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণহানির ঘটনায় তেল আভিভেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। শনিবার ইজরায়েলের রাজধানীতে জড়ো হন অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে লাগাতার স্লোগান দেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত আট মাস ধরে হামাস (Hamas) নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করে প্যালেস্তিনীয়দের ‘শেষ’ আশ্রয় রাফাতেও ঢুকে পড়েছে তারা। শরণার্থী শিবিরগুলোতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে। , শুক্রবার মাওয়াসি এলাকায় আছড়ে পড়ে একের পর এক ইজরায়েলি বোমা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ২৫ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ৪২ জনের মৃত্যু গাজায়।