সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: “তৃণমূলের গুন্ডারা অত্যাচার করলে মেরে চামড়া গুটিয়ে দিন, অসুর নিধনে অস্ত্র রাখুন ঘরে”, দুর্গাপুর থেকে ফের আক্রমণাত্মক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ( Raju Banerjee)। শাসকদলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও নিশানা করলেন বিজেপি নেতা।
মঙ্গলবার ‘দলীয় কর্মী’ খুন ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিল ও সভায় যোগ দিতে দুর্গাপুর থানা এলাকার পারুলিয়া যান বিজেপির (BJP) সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বলেন, “ওরা বোমা, বন্দুক নিয়ে ঘুরবে আর আপনি খালি হাতে লড়াই করবেন নাকি? অসুর নিধনে ঠাকুর দেবতার অস্ত্র রাখুন।” তৃণমূল চাইলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনও রক্তাক্ত হবে বলে হুঙ্কার দেন তিনি। বলেন, “চরম প্রতিরোধ হবে। পুলিশের বিরুদ্ধেও হবে। তৃণমূল চাইলে রক্ত ঝড়বে।” রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাগু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতাকে শহিদ করার ইচ্ছা আমাদের নেই। মানুষ চাইলে এই বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। এমনিতেই মানুষ শুইয়ে দিয়েছে মমতাকে।” বামেদের ডাকা ধর্মঘট মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে, আত্মবিশ্বাসী সুরে একথা বলে তিনি বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল মিলে এই ধর্মঘট ডেকেছে। ওরা সবাই এক।”
[আরও পড়ুন: মানভঞ্জনের চেষ্টা নাকি সৌজন্য বিনিময়? মিহির গোস্বামী ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সাক্ষাতে জল্পনা]
এদিন বিজেপির এই কর্মসূচি উপলক্ষে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় পারুলিয়ায়। ৮ নভেম্বর স্বরূপ সৌ নামে যে যুবককে খুন করা হয়েছিল, তাঁকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান রাজু। বলেন, “পুলিশ ও তৃণমূল এক। খুনের আগেই পুলিশ বলে দিচ্ছে আত্মহত্যা। রাজ্যজুড়ে বিজেপির নেতা-কর্মী খুন হলেই পুলিশ এই দাবি করছে। এখানেও মা’কে সুপারি কিলার বলেছে! সিবিআই তদন্ত হলে তৃণমূলের নেতা ও পুলিশি মদত প্রমান হয়ে যাবে।” উল্লেখ্য, ওই যুবক খুনের ঘটনায় মৃতের মা, দাদা ও স্থানীয় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।