সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই থামছে না ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ। কামানের গর্জন ও বারুদের ধোঁয়ায় গাজা ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে নরককুণ্ডে। একমুঠো খাবার, একটু পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ভূমধ্যসাগর তীরের এক চিলতে প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ডে আকাশপথে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বহু দেশ। এমনই এক ত্রাণ অভিযানের দরুন ঘটা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গাজার অন্তত ৫ বাসিন্দা। আহত কমপক্ষে ১০।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, শুক্রবার উত্তর গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছিল। বিমান থেকে প্যারাশুটে করে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় ফেলা হচ্ছিল একের পর এক খাবারের প্যাকেট। তখনই ঘটে যায় বিপর্যয়। প্যারাশুট না খোলায় একটি বড় মাপের খাবারের প্যাকেট রকেটের গতিতে আছড়ে পড়ে আল শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে। এই ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত পাঁচজন। আহত হন কমপক্ষে ১০। তাঁদের গাজা সিটির আস শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহম্মদ আল-ঘাউল নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেন, “বিমান থেকে খাবারের প্যাকেট ফেলা হচ্ছিল। তা দেখে আমি আর আমার ভাই একটু আটা পাওয়ার আশার সেদিকে যাচ্ছিলাম। তখনই দেখলাম একটি প্যাকেটের প্যারাশুট খোলেনি আর রকেটের গতিতে সেটি আছড়ে পড়ে একটি বাড়ির ছাদে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি মেসির দেশের লোক’, কিংবদন্তির নাম শুনেই বৃদ্ধাকে মুক্তি হামাসের!]
বলে রাখা ভালো, প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের জন্য অবরুদ্ধ গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে আমেরিকা ও জর্ডন-সব বেশ কয়েকটি দেশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জর্ডনের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাঁদের চারটি বিমান ত্রাণ বিলির কাজে রয়েছে এবং কেউই কোনও দুর্ঘটনার খবর দেয়নি বলে দাবি ডর্ডনের।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া সহজ নয়। ইজরায়েলি সেনা সড়কপথ বন্ধ করে রেখেছে। সাগরেও টহল দিচ্ছে ইজরায়েলের রণতরী। মিশর ও গাজার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র পথ রাফা বর্ডার ক্রসিং দিয়েও ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই আকাশপথে ত্রাণ বিলি ছাড়া অন্য পথ নেই। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলে বারবার বলছে রাষ্ট্রসংঘ।