সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরওয়েতে (Norway) তীর-ধনুক নিয়ে হামলা। মৃত অন্তত ৫। আহত আরও বেশ কয়েকজন। গ্রেপ্তার হামলাকারী। ঘটনাটি ‘সন্ত্রাসবাদী হানা’ হিসেবেই দেখছে সেদেশের পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত আফগান অর্থনীতি, বিপর্যয় এড়াতে ১২০ কোটি ইউরো দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন]
বিবিসি সূত্রে খবর, স্থানীয় সময়ে বুধবার নরওয়েতে পথচারীদের উপর আচমকা তীর-ধনুক নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় এক পুলিশকর্তা-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। পুলিশ সূত্রে, দেশটির কংসবার্গ শহরের একাধিক জায়গায় হামলা চালায় হামলাকারী। শুরুর দিকে শহরের পশ্চিমে একটি সুপার মাকের্টে এলোপাতাড়ি তীর ছোঁড়ে হামলাকারী। তারপর আরও বেশকয়েকটি জায়গায় হামলা চালায় ওই ব্যক্তি। তারপর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, নরওয়ের পুলিশকর্মীরা সাধারণত সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন না। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁদের রাইফেল এবং পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। এই ঘটনার ফলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জরুরি ঘোষণা মারফৎ গোটা দেশে পুলিশকর্মীদের অস্ত্রবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নরওয়ের আইনমন্ত্রক থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, জাস্টিস মিনিস্টার মনিকা মিল্যান্ড বিষয়টি অবগত এবং তিনি নিবিড়ভাবে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছেন।
উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেটের উত্থানের পর থেকেই ইউরোপে ছড়াচ্ছে জেহাদের শিকড়। মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে কার্যত মহাবিপদে পড়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেনের মতো শান্ত দেশগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে ২০২০ সালে ভিয়েনা হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক মুসলিম জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (Islamic State)। এহেন সময়ে এবার নরওয়ের হামলার ঘটনায় রীতিমতো অশনি সংকেত দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।তাঁরা মনে করছেন, এবার শান্তিপ্রিয় দেশটিও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।