সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচিংয়ের সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কিশোরী। তারই ‘প্রতিশোধ’ নিতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ উঠল ওই কিশোরদের বিরুদ্ধে। বিহারের (Bihar) জামুই জেলার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত কোচিংয়ের পাঁচ পড়ুয়া। তাদের নামের কোচিংয়ের প্রধানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল ওই কিশোরী। এমনকী, সাময়িক ভাবে সে পড়তে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে কোচিংয়ের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, আর এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে না। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরে ফের কোচিংয়ে যাওয়া শুরু করে মেয়েটি।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে ১ কোটি টাকা, হাই কোর্টে আরজি আইনজীবীর]
এরপরই ‘প্রতিশোধে’র পরিকল্পনা করে পাঁচ অভিযুক্ত। অভিযোগ, কিশোরী কোচিং থেকে ফেরার পথে তাকে পাশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। পরে মেয়েটিকে সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে গণধর্ষণের শিকার হওয়া এক নাবালিকাকে থানার মধ্যেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। চার যুবক ১৩ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ভোপালে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ২৬ এপ্রিল সকালে তাকে পালি থানার সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার পরের দিন ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয় ওই নাবালিকা এবং তার আত্মীয়াকে। অভিযোগ, আত্মীয়ের উপস্থিতিতেই তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। এই ঘটনায় তোলপাড় যোগীরাজ্য। এদিকে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরেও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১৫ বছর বয়সের মেয়েটি অপমানের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। এর মধ্যেই এবার বিহারের এই কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াকিবহাল মহল।