সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুর হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে বুধবার আরও এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারত। একই লঞ্চার থেকে ছোড়া হল পরপর দুই প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওড়িশা উপকূল ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র দুটি। নিখুঁত লক্ষ্যে পৌঁছে সেগুলি আছড়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। চলতি সপ্তাহেই পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। এবার সফল পরীক্ষা হল প্রলয়ের।
সফল পরীক্ষার পর এক বিবৃতি জারি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক বড় সাফল্য। সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তির এই ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাতা ডিআরডিও। যার গতি ৭৫০০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। দুর্দমনীয় গতি হলেও এই ক্ষেপণাস্ত্র অল্প দূরত্বে আঘাত হানার জন্য নির্মিত। এর রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটার। তবে এর মারণ ক্ষমতা ভয়াবহ। একটি ক্ষেপণাস্ত্র তার পেটে ১০০০ কিলো গোলাবারুদ বহন করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছিল ডিআরডিও। ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলা চালাতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে উত্তর-পূর্বের সীমান্ত থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো জায়গাগুলি অনায়াসে চলে আসে এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জে। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ৩৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের K-4 ব্যালেস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা করেছিল ভারত। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ টন পর্যন্ত নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। ভারতের 'মিসাইল ম্যান' ডঃ এপিজে আবদুল কালামের সম্মানে এই সিরিজের মিসাইলের নাম 'K' রাখা হয়েছে।
