অর্ণব দাস, বারাকপুর: হাতে আর একমাসও বাকি নেই। চলতি মাসের ৩০ তারিখ খড়দহ (Khardah) আসনে উপনির্বাচন। তার আগে ফের ওই এলাকার বিজেপি (BJP) শিবিরে ভাঙন। মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিলেন সেখানকার প্রায় পাঁচশো বিজেপি কর্মী। ভোটের মুখে দলের শক্তিবৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ঘাসফুলশিবির।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই করোনায় (Corona Virus) মৃত্যু হয়েছিল খড়দহের প্রার্থী কাজল সিনহার (Kajal Sinha)। তবে ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছিল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন কাজলবাবু। বিধানসভা নির্বাচনে প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করলেও বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। মূলত, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণেই এই এলাকায় তৃণমূল কম ভোট পেয়েছিল বলে মনে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। উপনির্বাচনের আগে ওই এলাকাতেই বড় ধাক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সৌগত রায়ের হাত ধরে খড়দহ বিধানসভার অন্তর্গত বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকার লেলিন গড়ের একটি সভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫০০ বিজেপি নেতা-কর্মী।
[আরও পড়ুন: ফিরল ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম পরিষেবা, ৭ ঘণ্টায় ৭ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন জুকারবার্গ]
উপনির্বাচনের প্রাক্কালে এই বিপুল সংখ্যক যোগদান ভোটের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিনের যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে বিলকান্দা ২ নম্বর পঞ্চায়েতে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। এদিন ৪৫৫ জন যোগদান করলেন। যদি প্রতিটি পরিবারে ১০ জন করে লোক থাকে তাহলেই আমাদের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।”
বিজেপি খড়দহ মণ্ডল ৩-এর সহ-সভাপতি প্রভাস কর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর এদিন বলেন, “বাংলার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই। সেই কারণেই শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।”