গোবিন্দ রায়: স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র ছাড়াই গ্রুপ সি-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন! বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেলেন? এঁদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছেন? শান্তিপ্রসাদ সিনহা? প্রশ্ন তাঁর। দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইটে ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতির। তারপরই ফের এই মামলার শুনানি।
গাজিয়াবাদ থেকে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটগুলির মধ্যে ৩০০টি বিকৃত নয়। আগামী ৯ মার্চ কলকাতা হাই কোর্ট বাকি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলাতেও ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করে এসএসসি।
[আরও পড়ুন: পুলিশের নিরাপত্তা পেরিয়ে বিধানসভা গেটের সামনে পৌঁছে গেলেন SFI সমর্থকরা, চলল ধস্তাধস্তি]
গত ৩ মার্চ গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামা দেখে কার্যত বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি। কীভাবে NYSA এবং কমিশনের সার্ভারে একই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দু’রকম হল, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানান হয়, “সেই সময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমন করে থাকতে পারে।” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি বলতে পারবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কারণ, তিনিই সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআইয়ের উচিত এদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা।”
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ৩১১৫টি বিকৃত ওএমআর শিট বলে জানানো হয়। এসএসসি’র দাবি, বাকি ৩৬২টি ওএমআর শিটে NYSA আর SSCটর সার্ভারে নম্বর একই আছে। শুক্রবার ওই মামলারই শুনানি চলাকালীন সুপারিশপত্র ছাড়াই গ্রুপ সি-তে কীভাবে ৫৭ জন চাকরি পেলেন, তা নিয়ে বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।