shono
Advertisement

অক্ষত দাঁত, লোম, ত্বক! ৫৭ হাজার বছর আগে মৃত নেকড়ের দেহ দেখে বিস্মিত গবেষকরা

এত পুরনো নেকড়ের শব এর আগে মেলেনি।
Posted: 04:17 PM Dec 22, 2020Updated: 04:17 PM Dec 22, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজার বছর আগে। তবু এখনও অক্ষত দাঁত, গায়ের লোম, এমনকী ত্বকও! উত্তর কানাডায় (Canada) বরফের নিচে চাপা পড়া এক নেকড়ের (Wolf) মৃতদেহ এমন নিখুঁত ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে দেখে বিস্মিত গবেষকরা।

Advertisement

কী করে এমন অক্ষত রইল মৃতদেহটি? গবেষকদের মতে, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীটি বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকায় তার দেহটিতে এই দীর্ঘদিনেও পুরোপুরি পচন ধরেনি। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর সময় নেকড়েটির বয়স ছিল মাত্র সাত সপ্তাহ। সে যে গুহায় থাকত, সেটি ভেঙে পড়াতেই তার তলায় চাপা পড়ে নেকড়ে ছানাটির মৃত্যু হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের বসতি তৈরিতে পরিবেশের ক্ষতি, বাংলাদেশে ধ্বংস হাজার হাজার একর বনাঞ্চল]

কানাডার ডসন শহরের কাছে এক সোনার খনির পাশেই উদ্ধার হয় মৃত নেকড়েটি। এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন নেকড়ের শব এটিই। হান ভাষায় নেকড়ের প্রতিশব্দ ‘ঝুর’-কে মনে রেখে এই মৃত নেকড়ের নাম রাখা হয়েছে ঝুর। তার প্রায় অক্ষত শবদেহ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন ডেস ময়নেস বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যার অধ্যাপিকা জুলি মিচেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রায় একশো শতাংশই অক্ষত রয়েছে দেহটি। বলতে গেলে একমাত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে চোখটা। এর ফলে নেকড়েটিকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে তার জীবনযাপন সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণার সুযোগ রয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, বরফের নিচে এই ধরনের প্রাণীদের মৃতদেহ আবিষ্কার খুব নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে সাইবেরিয়ায় ১৪ হাজার বছরের পুরনো এক কুকুরের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে ৩৯ হাজার বছরের পুরনো এক ভাল্লুকের মৃতদহ পাওয়া গিয়েছিল‌। এদের সবার দেহই বরফের নিচে থাকায় সেই ভাবে নষ্ট না হতেই দেখা যায়। এর ফলে প্রাণীবিদ্যার গবেষকরা সেই সময়ের প্রাণীদের দেহ নিয়ে বিস্তৃত পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পান।

[আরও পড়ুন : বায়ুদূষণেই কিশোরীর প্রাণহানি! ব্রিটেনে প্রথমবার মৃত্যুতে দায়ী করা হল এই কারণকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement