দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার (Bhangar TMC leader) বাড়িতে গুলিবৃষ্টির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁদের মধ্যে ৩ জন অভিযুক্ত কাইজার আহমেদের লোক। বাকি ৪ জন আক্রান্তের ঘনিষ্ঠ। ঘটনার নেপথ্য কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার রাতে। ওইদিন ভাঙড়ের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কোনওটা লাগে বাড়ির দেওয়ালে। কোনওটা আবার জানলা দিয়ে গিয়ে লাগে বিছানায়। সেই সঙ্গে চলে বোমাবাজি। তবে কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ফজলে করিম। রাতেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ফজলে করিমের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। বলেন, “কিছুদিন আগে আমি কাইজারের সঙ্গে এসএফআইয়ের যোগের প্রমাণ দিয়েছিলাম। দলের কাছে বিচারও চেয়েছিলাম। সেই কারণেই কাইজারের দুষ্কৃতীরার হামলা চালিয়েছে আমার বাড়িতে।” এর আগেও দুবার কাইজার তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ফজলে করিমের।
[আরও পড়ুন: লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জের, বাতিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান!]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাইজারের শাস্তির দাবি করেন ফজলে করিম। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরনোর আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে। ধৃতদের নাম সাবির মোল্লা (২৯), রশিদ আলি মোল্লা(৩৯), আশিক মিস্ত্রি (২৭), রাকেশ মণ্ডল(২৬), মন্টু শেখ(৩৬), আবদুর রহমান (৪৩), আসাদুর রহমান মোল্লা (৪২)। তবে ঘটনার নেপথ্যে আদৌ কাইজার রয়েছে নাকি অন্য কিছু তা এখনও অজানা। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই বারুইপুরে মেলা থেকে ফেরার পথে খুন করা হয় ২ যুবককে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল এলাকা। সেই খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। তবে এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত।