সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচটা শিশুর মতোই রঙিন হবে সন্তানের জীবন। যে যেন দুনিয়ার সমস্ত আনন্দ পায়। নিজের সন্তানের জন্য এমনটাই কামনা করেন মায়েরা। ব্যক্তিক্রমী নন লোচেন রাজের মা-ও। তিনিও ছেলের জন্মের আগে থেকেই সুখী পরিবারের স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রথমবার মা হওয়ার পর মনে হয়েছিল, জীবনের সমস্ত খুশি তাঁর ঝুলিতেই ঢেলে দিয়েছেন উপরওয়ালা। কিন্তু সেই আনন্দ খুব বেশিদিন স্থায়ী হল না। বরং মাত্র ৮ মাস বয়সে সন্তানকে যে এমন অসহ্য যন্ত্রণা পেতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি মা। বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করতে হয় খুদে রাজের। কিন্তু তাতেও মেটেনি সমস্যা। ফুসফুস থেকে শরীরে ছড়ায় সংক্রমণ। কঠিন রোগে জর্জরিত শিশুটি এখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সন্তানকে বাঁচাতে তাই আপনাদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আরজি জানাচ্ছেন রাজের বাবা-মা।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
শিশুর মা জানাচ্ছেন, গত বছর জুলাই থেকে সমস্যার সূত্রপাত। মাঝে মধ্যেই বমি করত খুদে রাজ। তাকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেও বিশেষ লাভ হত না। তারপরই ডায়রিয়ায় ভুগতে শুরু করে সে। এক মুহূর্ত দেরি না করে স্বামী-স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। ডাক্তাররা জানান, ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশুটি। একধাক্কায় অনেকটা ওজনও করে গিয়েছে। এরপর থেকে যতদিন গড়িয়েছে, ওর শারীরিক সমস্যা ততই বেড়েছে। রাজের মায়ের কথায়, “ওই অসহায় ছোট্ট শরীরটার দিকে তাকাতেই কষ্ট হত। দিশেহারা মনে হত কেমন। কী করলে ওকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব, ভেবেই পেতাম না।”
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
সমস্যা আরও বাড়লে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নানা টেস্ট আর চেক-আপের পর চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু তার জন্য খরচ প্রচুর। তাও সর্বস্ব বিক্রি করে কোনওক্রমে অর্থ জোগাড় করে সেই চিকিৎসা করেন অভিভাবকরা। তবে এতেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয়নি খুদের। আরও বড় দুঃসংসাদ অপেক্ষা করছিল নরেশ ও তাঁর স্ত্রীর জন্য। ডাক্তাররা জানান, ফুসফুসে চোটের কারণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনও পৌঁছচ্ছে না। দ্রুত বিশেষ কেয়ারে রাখতে হবে তাকে। অজস্র সূচ, টিউব আর ভেন্টিলেটরের মধ্যে এখন বাস ওর। আর এই চিকিৎসার জন্য খরচ ১৫ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে আসবে এই পরিমাণ অর্থ? নরেশবাবুর ৫০০০ টাকার বেতনে কোনওমতে দিন গুজরান হয় তাঁদের। সেখানে ছেলের চিকিৎসার জন্য এত অর্থ জোগাড়ের কথা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। সেই কারণেই তাঁরা আপনাদের শরণাপন্ন। চেলের প্রাণভিক্ষা চাইছেন। আপনার যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্যই খুদেকে সুস্থ জীবনে ফেরাতে পারে। এক অসহায় পরিবারকে ভরসা দেওয়ার চেয়ে বেশি তৃপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে!
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
রাজের অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি মেডিক্যাল দল। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও রয়েছে। অনুদানের আগে আপনিও চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন। কিংবা মেডিক্যাল টিমের আয়োজকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।