সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-রক্ষার অজুহাতে কি বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে মুসলিমদের? পরিসংখ্যান কিন্তু এমনটাই বলছে। একটি সর্বভারতীয় সমীক্ষা সংস্থার পরিসংখ্যানে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গো-রক্ষার নামে মুসলিমদের উপরই আক্রমণ করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত সাত বছরে দেশে গো-রক্ষা সংক্রান্ত ইস্যুতে অন্তত ৬৩টি অপ্রীতিকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু ২০১৭-তেই অন্তত ২০টি এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছেন। IndiaSpend-এর তথ্য বলছে, গো-রক্ষকদের হাতে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের, আক্রান্ত হয়েছেন ১২৪ জন। কিন্তু সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, মৃত ২৮ জনের মধ্যে ২৪ জনই মুসলিম। শতকরার বিচারে ৮৬ শতাংশ।
২০১৪-য় নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর গো-রক্ষার নামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ওই পরিসংখ্যানে। ৯৭ শতাংশ হামলা হয়েছে বিজেপির জমানায়। ৬৩টির মধ্যে অন্তত ৩২টি হামলার ঘটনাই ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। ২৩টি হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কোনও না কোনও হিন্দু সংগঠনের বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ও স্থানীয় গৌরক্ষক সমিতি।
বাংলা ও ওড়িশা-সহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি থেকে ২১ শতাংশ (৬৩টির মধ্যে ১৩টি) তাণ্ডবের অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ কর্ণাটকে গো-রক্ষার নামে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে মাত্র ৬টি, অসম থেকে একটিই। সেটিও চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল। একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৬৩টির মধ্যে অন্তত ৩৩টি হামলাই হয়েছে স্রেফ গুজবের জেরে।
রাজ্যওয়াড়ি হিসাবে সবচেয়ে বেশি মুসলিমকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশে। সেখানে ১০টি গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। হরিয়ানা থেকে ৯টি, কর্ণাটকে ৬টি, মধ্যপ্রদেশে ৪টি, দিল্লিতে ৪টি ও রাজস্থান থেকে এরকম অভিযোগ জমা পড়েছে ৪টি। ২৯টির মধ্যে ১৯টি রাজ্যে গরুকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
[মোদিকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি ইজরায়েলি মিডিয়ার]
The post গো-রক্ষার নামে সংঘর্ষে মৃত ২৮ জনের মধ্যে ২৪ জনই মুসলিম appeared first on Sangbad Pratidin.