সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচটা স্মার্ট ওয়াচের থেকে অনেকটাই আলাদা অ্যাপল ওয়াচ (Apple Watch)। মূল কাজটা এক হলেও এতে রয়েছে বেশ কিছু জীবনদায়ী ফিচার। এবার সেই অ্যাপল ওয়াচের জেরেই এক ব্যবহারকারী জানতে পারলেন তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার।
ব্যাপারটা ঠিক কী? ১২ বছরের এক নাবালিকা ইমানি মাইলস। অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করত সে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই ওয়াচ নোটিফিকেশনে জানায়, তার হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকা বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়নি। তবে মনে খটকা লেগেছিল। এরপর নাবালিকার মা বিষয়টা জানতে পারেন। তড়িঘড়ি মেয়েকে চিকিৎকের কাছে নিয়ে যান তিনি। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, নাবালিকার অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার রয়েছে। যা অত্যন্ত বিরল। এরপরই চিকিৎসকরা, ওই টিউমারটি অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। সেই সময় তাঁরা জানতে পারেন যে, টিউমারটিতে ক্যানসারের সেল ছিল। যা ছড়াতে শুরু করেছিল নাবালিকার শরীরে।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ কেন? সরব নওশাদ, প্রশ্ন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও]
নাবালিকার মা জানান, তাঁর মেয়ের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। ফলে তাঁরা কিছু বুঝতে পারেননি। অ্যাপল ওয়াচ যদি সংকেত না দিত, তাহলে বোঝাও যেত না যে শরীরে বাঁধা বেঁধেছে এই রোগ। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হত না। প্রসঙ্গত, অ্যাপল ওয়াচে এমন কিছু বিশেষ ফিচার রয়েছে, যা অন্য স্মার্ট ওয়াচগুলিতে থাকে না। আর এই ফিচারগুলি যে জীবনদায়ী তা বার বার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে অ্যাপল ওয়াচের ECG হার্ট সেন্সর প্রাণ বাঁচিয়েছে ৫৭ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের। স্ত্রীর উপহার দেওয়া অ্যাপল ওয়াচে বারবার অ্যালার্ট পেয়ে হাসপাতালে যান ওই প্রৌঢ়।