সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতিকে। এই গ্রেপ্তারি নিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, রাজু মণ্ডল নামে স্থানীয় নারায়নি আবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিজেপির সাগর চার নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি।
সুন্দরবন জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রাজু মণ্ডল বিভিন্ন কোম্পানির মোটরবাইক বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরেও তার রেজিস্ট্রেশন করছিলেন না। ক্রেতারা বারবার বলা সত্বেও কোনও লাভ হচ্ছিল না। ক্রেতারা বললে উলটে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্রেতাদের রাজু হুমকি দিতে বলেও অভিযোগ। কয়েক মাস এলাকা ছাড়াও ছিল রাজু। এর আগে গত ৩ এপ্রিল পুলিশ অলোক পাত্র নামে এই প্রতারণার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে। একজন ক্রেতা রাজুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে রবিবার রাতে গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত বিজেপি যুব মোর্চার ওই নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার রাজুকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে গরমিল! ক্রমশ জটিল হচ্ছে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য]
বিজেপি যুব মোর্চার নেতার গ্রেপ্তারির ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু করে প্রচারে নামছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিজেপি এই প্রতারকদেরই ক্ষমতায় বসিয়ে রেখে মুখে বড় বড় কথা বলছে। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যত বৈদ্য বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজুর ব্যবসায়িক। এর সঙ্গে রাজনীতির কীভাবে যোগ থাকতে পারে? আসলে ওই এলাকায় রাজু বিজেপির হয়ে ভাল কাজ করছিলেন বলেই তৃণমূল বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে।