নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মন্দিরের পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের খয়রাশোলের হজরতপুর গ্রামের বিশ্বরূপ মন্দির চত্বরের পরিত্যক্ত ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করেছে শাসকদল তৃণমূল।
ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক ৩৩ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি ছিলেন। পরিবারের দাবি, গত শনিবার দাদার বাড়ি যাবেন বলে বেরোন তিনি। তবে পরে জানা যায় দাদার বাড়ি যাননি তিনি। শুরু হয় খোঁজখবর। তবে দু’দিন কেটে গেলে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রাই খয়রাশোলের হজরতপুর গ্রামের বিশ্বরূপ মন্দির চত্বরের পরিত্যক্ত ঘরে ইন্দ্রজিতের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। হাত-পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: জাল নোট পাচারে ধৃত সপ্তম শ্রেণির ‘ফার্স্ট বয়’! কালিয়াচকের মেধাবী কিশোরের কীর্তিতে চাঞ্চল্য]
দেহ উদ্ধারের পর থেকে শুরু বিজেপি-তৃণমূল (TMC) তরজা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতি ভজহরি বাগের অভিযোগ, ইন্দ্রজিৎকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল এই ঘটনায় দায়ী বলেও দাবি তাঁর। বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার গলাতেও একই অভিযোগের সুর। তিনি বলেন, “এই এলাকায় বিজেপির উপর সন্ত্রাস চলছে, এটাই তার উদাহরণ। আমাদের কর্মীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করেছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ (Police) ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।”
এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ১ নম্বর ব্লকের কসবায় মাঠের মাঝে পুকুর থেকে এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে তপন খাটুয়া নামের ওই বিজেপি কর্মী হরিচক এলাকার বাসিন্দা। বিজেপি করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ নস্যাৎ করেছে শাসক শিবির।