রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবার। তরুণীকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন অন্যত্র। কিন্তু প্রেম যে কোনও বাধার পরোয়া করে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যত্র বিয়ে করলেও প্রেমিকের প্রতি টান কমেনি। বাপের বাড়ি আসায় দুবছর পর প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে তৈরি হয়েছিল ঘনিষ্ঠতা। যার জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুরে।
ব্যাপারটা কী? রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের সুবোধপুর গ্রামের একটি শ্মশানের গাছে দুটি দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। একই শাড়িতে ঝুলন্ত তরুণী ও যুবকের দেহ উদ্ধার করে তাঁরা। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম সোনামনি প্রধান আর যুবক শ্রীকান্ত সামন্ত। ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনামণি। বিবাহ সূত্রে খাগা গ্রামে থাকতেন তিনি। আর পশ্চিম ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রীকান্ত।
[আরও পড়ুন:হোলির গভীর রাতে গোসাবায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা, প্রাণ গেল দুই বাইক আরোহীর, আহত এক ]
কিন্তু কী কারণে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করলেন সোনামণি ও শ্রীকান্ত? জানা গিয়েছে, মৃতেরা একই সঙ্গে স্কুলে পড়তেন। সেই সময় তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে যুগল। কিন্তু সোনামণি আর শ্রীকান্তের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তরুণীর পরিবার। সম্পর্ক মেনে নেননি তাঁরা। জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় সোনামণির। কিন্তু তাতেও প্রেমিকের প্রতি টান কমেনি সোনামণির। এর মাঝে পেরিয়ে বেশ কয়েকটা বছর। বর্তমানে একটি সন্তান রয়েছে সোনামণির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই বাপের বাড়িতে এসেছিলেন সোনামণি। এরপর শনিবার রাতে আচমকা বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। রবিবার সকালে মেলে দেহ। মনে করা হচ্ছে, প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন পূরণ হবে না, তা বুঝতে পেরেই একসঙ্গে মৃত্যুর পথ বেছে নিল যুগল। যদিও এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুগলকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার তত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।