সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত বাবার শেষকৃত্য যাতে যোগ দিতে পারেন যাত্রী, তার জন্য জান লড়িয়ে দিলেন দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi International Airport) এক গ্রাউন্ড স্টাফ। ওই কর্মীর তৎপরতাতেই পাঁচ মিনিট দেরিতে ছাড়ে বিমান। ফলে যাত্রীর পক্ষে ওই বিমানে চাপা সম্ভব হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) গ্রাউন্ড স্টাফ যুবকের ছবি-সহ একটি পোস্টে গোটা ঘটনার কথা জানান যাত্রী। এরপর ওই কর্মীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা।
লিঙ্কডিনে পোস্ট করেন পেশায় বিজ্ঞানী যোগেশ পারমার। দু’মাস আগের ঘটনা। ফ্রান্সে ছিলেন যোগেশ। বাবার মৃত্যুসংবাদ পাওয়ামাত্র দ্রুত আন্তর্জাতিক উড়ানে ভারতে ফেরেন তিনি। নামেন দিল্লি বিমানবন্দরে। কিন্তু তাঁকে যেতে হবে চেন্নাইয়ে (Chennai)। এদিকে আন্তর্জাতিক উড়ান ও অন্তর্দেশীয় উড়ানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মোটে ৩০ মিনিট। তার মধ্যেই দুই দুটি পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া মেটাতে হত তাঁকে। যা আদৌ সম্ভব ছিল না। যোগেশ জানান, ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পর আমার হাতে ১৫ মিনিট ছিল।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দেহ পুঁতে দিলেন চিকিৎসক, করলেন নিখোঁজ ডায়েরি, তারপর…]
যোগেশের অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা তাঁকে সাহায্য করেননি। অথচ বাবাকে একবার শেষ দেখা দেখতে চাইছিলেন তিনি। হাতে অল্প সময়, বিমান সংস্থার কর্মীদের অসহযোগিতার পরেও যা সম্ভব হয়েছে শেষ পর্যন্ত। কেবলমাত্র গ্রাউন্ড স্টাফ ওই যুবকের কারণে। তিনিই ছুটে গিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মীদের কাছে যোগেশের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। তার ফলেই পাঁচ মিনিট দেরিতে ছাড়ে চেন্নাইগামী বিমান। ফলে ওই বিমান ধরা সম্ভব হয় যোগেশ পারমারের পক্ষে। লিঙ্কডিন পোস্টে যোগেশ লেখেন, আমি যখন গ্রাউন্ড স্টাফকে জানাই কী কারণে চেন্নাইয়ের উড়ান ধরতে মরিয়া তখন ওই যুবক আমাকে একটা কথাই বলেন, “আমি আপনাকে পৌঁছে দেবো।”
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের নিরাপত্তায় বিপুল খরচ, কত হাজার কোটি টাকা ব্যয়? কমল নাশকতা? জানাল কেন্দ্র]
একপ্রকার জোরপূ্র্বক যোগেশের বোর্ডিং পাস করান যুবক। ছুটতে থাকেন রানওয়ের দিকে। অন্য গ্রাউন্ড স্টাফ, নিরাপত্তা কর্মী, এমনকী এয়ার হোস্টেজ, মায় সকলকে বুঝিয়ে পাঁচ মিনিট দেরি করান উড়ানটিকে। এর ফলেই চেন্নাইগামী বিমানে চাপা সম্ভব হয় যোগেশ পারমারের পক্ষে। বাবাকে শেষবার দেখার সুযোগ পান তিনি।