সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) থাবায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে দরজা বন্ধ করে বাড়িতে দিনযাপন করছেন সকলে। এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অথচ রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে উঠল সেই চিকিৎসককেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ভাইরাল অসমের হোজাইয়ের ঘটনার ভিডিও। নিন্দায় সরব চিকিৎসক মহল।
সিয়ুজ কুমার সেনাপতি নামে নিগৃহীত ওই চিকিৎসক (Doctor) উদালি মডেল হাসপাতালে কর্তব্যরত। ওই হাসপাতালে মঙ্গলবার পিপাল পুখুরি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াজউদ্দিন নামে করোনা রোগী ভরতি হন। চিকিৎসক জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি কাজে যোগ দেন। দুপুর ২টো নাগাদ রোগীর পরিজনদের গিয়াজউদ্দিনের শারীরিক অবস্থার কথা জানান। রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলেই জানান তিনি। এরপর রোগীর কাছে গিয়ে দেখেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাদের কতদিন ধরে দিতে হবে করোনার ভারতীয় ওষুধ 2-DG? জানাল কেন্দ্র]
রোগীর পরিজনদের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। আর সে খবর পাওয়ামাত্রই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন নিহতের পরিজনেরা। চিকিৎসকের দাবি, অক্সিজেনের (Oxygen) অভাবেই মৃত্যু হয়েছে করোনা রোগীর। যদিও তা মানতে নারাজ নিহতের পরিবার। অভিযোগ, রোগীর পরিবারের ১২-১৫ জন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। হামলার আশঙ্কায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসক সেনাপতিকে একটি ঘরে তালাবন্দি করে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা ঘরের তালাও ভেঙে ফেলে। তারপর ঘরের ভিতরে ঢুকে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। কারও হাতে ছিল লাঠি, কারও হাতে ঝাঁটা আবার কারও হাতে স্টিলের বাসনপত্র। মাটিতে ফেলে অমানবিকভাবে চলে বেধড়ক মারধর। বেশ কিছুক্ষণ মারধরের পর হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায় তারা।
আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। অন্য একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। এদিকে, এই ঘটনার ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নিন্দায় সরব চিকিৎসক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের প্রাপ্য কি এটাই, প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।