সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসকর্ট সার্ভিস (Escort Service) নিয়ে অমানবিক অভিযোগ লন্ডনে (London)। ১৬ বছর বয়সী নাবালিকাকে একদিনে ১৭ জন পুরুষের শয্যসঙ্গী হতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে ওই এসকর্ট সার্ভিস সংস্থার থেকে সে ঋণ নিয়েছিল। ঋণ পরিশোধেই তাকে এই কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনায় ওই এসকর্ট সার্ভিসকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসকর্ট সংস্থার টেলর জো ওয়াকারের ১৭ মাস জেলের শাস্তি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা দ্য সান (The Sun) জানিয়েছে, দুই সপ্তাহে ওই নাবালিকাকে ৩০ জন পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়। এর জন্য প্রতি আধ ঘণ্টায় ৮০ ইউরো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। এসকর্ট প্রতিনিধির বক্তব্য, ধীরে ধীরে বিষয়টায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে সে। মেয়েটি সংস্থার থেকে ৩ হাজার ইউরো ঋণ নিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘খুনও হতে পারি’, আস্থা ভোটের আগে আশঙ্কা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের]
এই ঘটনায় নাবালিকা পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেই তা প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মাধ্যমে ওই এসকর্ট টেলর জো ওয়াকার (Tyler-Jo Walker) যোগাযোগ করে নাবালিকার সঙ্গে। এরপর সে নিজের ফ্ল্যাটে নাবালিকাকে ডেকে নেয়। সেখানে স্বল্পবাসে তার কিছু ছবি তোলা হয়। এই বিষয়ে নিউ ক্যাসেল ক্রাউন কোর্টের আইনজীবী বলেন, “ভুক্তভোগী মেয়েটি পুলিশকে জানায় যে তিনি কিছুতেই না বলতে পারেননি। কারণ অভিযুক্ত তাকে বিষয়টিতে কায়দা করে ফাঁসিয়ে দেয়।”
অভিযোগ, গ্রাহকদের কাছেও নাবালিকার বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দিত এসকর্ট। বলা হয় মেয়েটির আঠারো বছর বয়স। যদিও তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। নাবালিকা জানিয়েছে, এসকর্ট টেলর জো ওয়াকার তাকে বলে, এটা তোমাকে করতেই হবে, নচেত আর কীভাবেই বা তুমি অর্থ উপার্জন করবে। মামলাটি নিউ ক্যাসেল ক্রাউন কোর্টে ওঠার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এভাবে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন বলেই মনে করেছে মেয়েটি। সন্দেহ নেই যে এমন ঘটনা মেয়েটির জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলার পক্ষ যথেষ্ট।”
[আরও পড়ুন: নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE ওমিক্রনের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত ছড়ায়! বিশ্বকে নতুন করে সতর্ক করল WHO]
সংবাদ সংস্থা দ্য সান সূত্রে জানা গিয়েছে, এসকর্ট ওয়াকার তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তার ১৬ মাস জেলের শাস্তি হয়েছে। এইসঙ্গে আগামী দু’বছর এই এসকর্ট সার্ভিসকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।