সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুয়োরের মল দিয়ে সার তৈরি হয়। ভুট্টা উৎপাদনে সেই সার ব্যবহার করে আমেরিকা। পরে ওই ভুট্টা রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশেও। এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তৈরি হল সমাজমাধ্যমে।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। সেখানে শুয়োর-জাত যে কোনও পদার্থই 'হারাম' বলে মনে করা হয়। তা জানা সত্ত্বেও কেন সেই ভুট্টা বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সেই সূত্রেই কেউ কেউ বিঁধছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাঁদের নয়া নীতির কারণেই বাংলাদেশ বলির পাঁঠা হচ্ছে! এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "বাংলাদেশকে ধ্বংস করছেন আঙ্কল স্যাম। শুয়োর সারে তৈরি ভুট্টা খায় ওরা!"
বিতর্কের সূত্রপাত্র ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের একটি সমাজমাধ্যম পোস্ট। সেই পোস্টে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, শীঘ্রই আমেরিকার ভুট্টা বাংলাদেশে পৌঁছোবে। এর পর থেকেই সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি করতে থাকেন, শুয়োর-জাত সার দিয়ে যে ভুট্টা উৎপাদন করে আমেরিকা, সেই ভুট্টাই বাংলাদেশে পাঠানো হয়। কৌতূহলবশতই অনেকে প্রশ্ন করেন, সেই ভুট্টা হালাল না হারাম? বিশেষজ্ঞদের মত, এই সার মাটিতে ব্যবহার করা হয়। সরাসরি ভুট্টায় নয়। তাই ভুট্টার দানায় মোটেই শুয়োর-জাত পদার্থ থাকে না। ফলে ওই ভুট্টা মোটেই 'হারাম' নয়।
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে শুল্ক নিয়ে আলোচনায় ভুট্টা, সয়াবিনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। আমেরিকা চেয়েছিল, ভারত তাদের ভুট্টা ও সয়াবিন কিনুক। কিন্তু এ দেশের চাষিদের স্বার্থ রক্ষার্থে তাতে রাজি হয়নি নয়াদিল্লি। পরে দু'দেশের মধ্যে শুল্ক নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যায়। ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কও চাপায় আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসন ৩৭ শতাংশ হারে শুল্ক চাপিয়েছিল বাংলাদেশি পণ্যেও। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি লেখেন। শুল্ক হার কমানোর অনুরোধ জানান। তাতে রাজিও হয় আমেরিকা। শর্ত দেওয়া হয়, আমেরিকার ভুট্টা, সয়াবিন আর গম কিনতে হবে ঢাকাকে। তাতে রাজি হয় ইউনুস প্রশাসন। সেই চুক্তির ভিত্তিতেই বাংলাদেশে ভুট্টা পাঠাচ্ছে আমেরিকা।
