টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মাত্র সাড়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধুন্ধুমার। অভিযোগ, শিশুর মৃত্যুর পর তার দাদু চিকিৎসকদের ছবি তুলছিলেন। তা দেখেই রেগে যান চিকিৎসকরা। কেন ছবি তুলছেন তিনি, তা জানতে চান তাঁরা। তবে যথোপযুক্ত কোনও উত্তর দিতে না পারায় বচসা আরও বাড়তে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নিহতের দাদু, বাবা, কাকুকে আটক করে। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
বমি নিয়ে গত শুক্রবার থেকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভরতি ছিল কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুটি। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিষ্ণুপুর থেকে মাতৃযানের মাধ্যমেই মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসার পরে প্রথমে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু ওয়ার্ডে। চিকিৎসকরা দেখার পর এই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেকথা শুনেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন শিশুর মা ডোনা।
[আরও পড়ুন: গায়ে জ্বর! করোনার আশঙ্কায় হৃদরোগে আক্রান্তকেও ভরতি নিল না ৩টি নার্সিংহোম]
মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের দাবি, শিশুটি মারা যাওয়ার পর তার দাদু মহাদেব রায় শিশুদের ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা চিকিৎসকদের ছবি তুলতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে আচমকা কেন ছবি তুলছেন তিনি, তা নিয়ে বচসা শুরু হয়। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চিকিৎসকরা মৃতের দাদু মহাদেব রায়, বাবা রাজীব রায় এবং কাকা রাজ রায়কে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে পোস্ট গ্যাজুয়েট শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। হাসপাতাল সুপার গৌতম নারায়ণ সরকার বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
The post শিশু মৃত্যুর পর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছবি তোলার চেষ্টা, আটক নিহতের পরিজনেরা appeared first on Sangbad Pratidin.