সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাষা বুঝতে না পারায় মাথা কেটে খুন মহিলাকে। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি খুনি। খুনের পর ওই মহিলার ঘিলু মেখে ভাতও খায় ওই খুনি যুবক। না, এটা কোনও হলিউডি সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয়। বরং বাস্তবেই এমন গা ঘিনঘিনে ঘটনাটি ঘটেছে সুদূর ফিলিপিন্সে। তবে খুনির মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বৃহস্পতিবার কাকভোর। রাস্তাও শুনসান। ফিলিপিন্সের মিডানো দ্বীপে নিজের বাড়ি ফিরছিল বছর একুশের যুবক লিয়াডো ব্যাগটগ। আকণ্ঠ মদ খেয়ে হাঁটার মতো ক্ষমতা ছিল না তার। এদিকে খিদেতে পেটের নাড়িভুঁড়িও ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড়। হঠাৎই মাঝ রাস্তায় এক মহিলার সঙ্গে দেখা লিয়াডোর। সেই মহিলা আবার ইংরাজিতে কথা বলেন। কিন্তু সে ভাষা তো আবার লিয়াডোর অজানা। সে কথা সেই অজ্ঞাতপরিচয় মেয়েটিকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় লিয়াডো। না লিয়াডো তার কথা বুঝতে পারছিল, না মেয়েটি লিয়াডোর আবেদন বুঝতে পারছিল! মেয়েটিকে এড়িয়ে চলে যেতে চাইলেও রেহাই মেলেনি। ক্রমাগত বকবক করতে-করতে লিয়াডোর পিছন-পিছন হাঁটতে থাকে মেয়েটি। আর এতেই রাগে ফেটে পড়ে লিয়াডো।
[আরও পড়ুন : প্রতিবাদে স্তব্ধ ফ্রান্স, নয়া পেনশন নীতি নিয়ে বিপাকে ম্যাক্রঁ প্রশাসন]
পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই লিয়াডো মেয়েটিকে একটি জনমানবশূন্য এলাকায় নিয়ে যায়। মেয়েটিকে কোমরের বেল্ট দিয়ে বেঁধে ফেলে মাথায় কোপ মারে। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। এক টুকরো কাপড় জোগাড় করে লিয়াডো। তাতেই বেঁধে মুন্ডুটি হাতে নিয়ে বাড়িও আসে সে। ঠান্ডা মাথায় সে ভাতও রান্না করে। তারপর কাটা মুন্ডুর ঘিলু বের করে ভাতে মেখে খেয়েও ফেলে। পরে খুলিটা জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তার এই স্বীকারোক্তিতে চমকে গিয়েছে ফিলিপিন্স পুলিশও।
[আরও পড়ুন : “কেউ আমাকে ছুঁতে পারবে না”, নিজের ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ থেকে ভারতকে কটাক্ষ নিত্যানন্দর]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা ওই মেয়েটিকে লিয়াডোর সঙ্গে নির্জন জায়গায় যেতে দেখেছিলেন। তারপর কী হয়েছে তারা জানেন না। তবে লিয়াডোর প্রতিবেশিরা জানান, আগাগোড়াই রগচটা ছিল লিয়াডো। বহুদিন ধরে কর্মহীনও ছিল সে। ফলে দিনদিন খিটখিটেও হয়ে যাচ্ছিল। সারাদিনই মদে ডুবে থাকত। তাই লিয়াডোর পক্ষে এই র্কীতি ঘটানো মোটেও অসম্ভব নয়।
The post নৃশংস কাণ্ড! তরুণীর মুন্ডু কেটে ঘিলু মেখে ভাত খেল খুনি appeared first on Sangbad Pratidin.