নন্দন দত্ত, বীরভূম: ২ দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার শিশুর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যে বাড়ির ছাদ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে তাতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। জ্বালানো হয় আগুন। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায়।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওইদিন সকালে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া পাঁচ টাকা নিয়ে বিস্কুট কিনতে বাড়ির সামনের দোকানে যায় বছর পাঁচেকের শিশু শিবম ঠাকুর। তারপর থেকে আর সে বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় শান্তিনিকেতন এলাকায়। শিবমকে খুঁজে দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার শিশুর পাশের বাড়ির টিনের ছাদে বস্তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরই তা থেকেই উদ্ধার হয় শিবমের দেহ। স্থানীয়রা বিষয়টা টের পাওয়ামাত্রই খবর দেয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেছে দেহ।
[আরও পড়ুন: দুর্নীতি করে পাওয়া স্কুলের চাকরি যাবেই, সাফ বার্তা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে এলাকা। যে বাড়ির ছাদে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে, বাধার মুখে পড়তে হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। সব মিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করা হয়েছে ওই খুদেকে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ বস্তায় ভরে তুলে রাখা হয় বাড়ির ছাদে। কিন্তু কেন? শোনা যায়, শিবমের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল অভিযুক্ত পরিবারের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই এই নৃশংসতা।