সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার দখল নিলেন কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লা (Red Fort) ঢুকে পড়েন একদল বিক্ষোভকারী। পরে সেখানে কৃষক সংগঠন নিশান সাহিবের পতাকা ওড়ালেন তাঁরা। এদিকে এদিন এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। ট্র্যাক্টরে চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় যেখান থেকে জাতীয় পতকা উত্তোলন হয়, সেখানেই ওড়ানো হয় কৃষক সংগঠনের পতাকা। অভিযোগ, জাতীয় পতাকার থেকে উঁচু করে কৃষক সংগঠনের পতাকা ওড়ানো হয়েছে এদিন। যা প্রকারন্তে জাতীয় পতাকার অবমাননা। পরে অবশ্য পুলিশ সেই পতাকা নামিয়ে দেন। সাধারণতন্ত্র দিবসে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন : বায়ুসেনার দুই মহিলা পাইলটের অনন্য নজির! সাধারণতন্ত্র দিবসে গড়লেন ইতিহাস]
লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার বদলে খলিস্তানি পতাকা ওড়ানো হবে বলে আগেই হুমকি দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতারা। ফলে আগেভাগে সতর্ক ছিল দিল্লি পুলিশ। তবু শেষরক্ষা হল না। খলিস্তানি না হলেও লালকেল্লায় উড়ল কৃষক সংগঠনের পতাকা। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সমাজের একাংশ। এই ঘটনাকে ‘ইনটালিজেন্স ফেলিওর’ বলেও উল্লে্খ করেছেন কেউ কেউ।
সাধারণতন্ত্র দিবসে সকালেই সিঙ্ঘু, গাজিপুর সীমানা থেকে ট্র্যাক্টর ব়্যালি বের করেন কৃষকরা। তারপর থেকেই পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। কোথাও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়, তো কোথাও আবার লাঠি চালায় পুলিশ। পালটা কৃষকরাও লাঠি হাতে চড়াও হন। এমনকী, তাঁদের হাতে তলোয়ারও থাকতে দেখা গিয়েছে। এদিকে বেলা গড়াতেই সমস্ত ব্যারিকেড ভেঙে রুট বদলে দিল্লিতে ঢুকে পড়েন কৃষকরা। দিল্লির আইটিও-র সামনে পুলিশের সঙ্গে ফের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। অভিযোগ, পুলিশের উপর দিয়ে ট্র্যাক্টর চালিয়ে দেন কৃষকরা। পরে ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন কৃষকরা।
[আরও পড়ুন : সাধারণতন্ত্র দিবসে সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিল পেট্রল-ডিজেলের দাম! নির্বিকার সরকার]
এরপর কয়েকজন কৃষক লালকেল্লায় নিজেদের সংগঠনের পতাকা উড়িয়ে দেন। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, এই আন্দোলনের পিছনে উসকানি দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাদের উসকানিতেই জাতীয় পতাকার চেয়ে উঁচু করে কৃষক সংগঠনের নিশান ওড়ানো হল। তেরঙ্গার অপমান করা হল। অপর এক অংশের অভিযোগ, আন্দোলনকে বদনাম করতে এই ঘটনা ঘটানো হল।
যদিও এই দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া কৃষক নেতা রাকেশ তিরকিত। এদিন তিনি বলেন, “যাঁরা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছেন, তাঁরা কৃষক নন। রাজনৈতিক দলের সদস্য। বিক্ষোভারীদের বদনাম করতেই এই কাজ করা হয়েছে।”