দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দিন-রাত ধরে লাগাতার বাড়ির একাংশ থেকে পড়ছে তেলের মতো তরল পদার্থ! গোটা দেওয়াল কালো-স্যাঁতস্যাতে হয়ে হাল বেহাল। ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন পরিবারের সদস্য-সহ এলাকার বাসিন্দারাও। এক-দুদিন নয়, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি ওএনজিসি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইপিসি বিভাগ, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা ও নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন সদস্যরা। বাড়িতে ঘুরে এসেছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররাও। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষকরা যাবেন বলে খবর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন সরকার। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফরতাবাদ রোডের মজুমদার পাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। সাম্প্রতিক কালে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগে বাড়ির একটি অংশে ছোট জায়গায় কালো দাগ থাকলেও ক্রমশ তা বড় আকার ধারণ করছে। বাড়ির বাঁ দিকের দেওয়াল কালো হয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে তেলের মতো পদার্থ ক্রমাগত মাটিতে পড়ছে। প্রথমে বিষয়টি জানলেও খুব একটা নজর দেননি রতনবাবুরা। পরে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খবর দেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায়। বাড়িতে যান পুরসভার আধিকারিকরা। পুরসভা ও পরিবারের তরফ থেকে ওএনজিসি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইপিসি বিভাগে খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রতনবাবুর বাড়িতে যাবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
বাড়ির মালিক রতন সরকার বলেন, "বাড়ির একাংশ কালো হয়ে রয়েছে। তেলের মতো তা মাটিতে পড়ছে। ভয় লাগছে ভেঙে না পড়ে। পুরসভাকে জানানো হয়েছে।" গৃহকর্তৃ শম্পা সরকার জানান, "কয়েক বছর আগে বাড়িতে রং করাই। সেই সময় বিষয়টি চোখে পড়ে। রং হয়ে যাওয়ার পর আর সেই ভাবে নজর দিইনি। তবে মাস খানেক ধরে দেখছি এই কালো ভাব আরও বেড়ে যাচ্ছে। ক্রমশ তা বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ছে।"
খবর পেয়ে বাড়টিতে যান রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সদস্য নজরুলআলি মণ্ডল। তিনি বলেন, "ইঞ্জিনিয়াররা বাড়িটি ঘুরে গিয়েছেন। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি দল মঙ্গলবার এখানে আসবে। আশা করছি সমাধান সূত্র বেরবে।" এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মজুমদার পাড়ায়।