সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক শহর মানেই আকাশ চুরি যাওয়া গগণচুম্বি অট্টালিকা। ঝা-চকচকে দিন, আলো ঝলমলে রাত। যেমন মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই কিংবা আমেরিকার (America) নিউ ইয়র্ক শহর (New York City)। সেই অহঙ্কারেই কি ডুবতে বসেছে নগর সভ্যতার মানুষ? ডেকে আনছে ঘোর বিপদ? বাস্তবিক সভ্যতার নয়া সংকটের মুখোমুখি নিউ ইয়র্ক। ‘যে শহর কখনও ঘুমোয় না’, প্রকৃতির রোষে তার আজ ঘুম ছোটার দশা। সম্প্রতি ভূ-বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শহরের গগণচুম্বি অট্টালিকার ভারে ডুবতে বসেছে নিউ ইয়র্ক শহরের একাংশ। ভবিষ্যতে এর ফল হতে পারে ভয়ংকর।
অভিজাত মানুষের বাস নিউ ইয়র্কে। শহরের অধিকাংশ নাগরিক কোটিপতি। ফলে বিরাট অফিস, বিলাসবহুল উচ্চবিত্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত তাঁরা। সেই নিউ ইয়র্ক ধীরে ধীরে ধসে যাচ্ছে গগণচুম্বি বাড়িগুলির চাপে। অর্থাৎ কিনা নিজের ভারে সে নিজেই তলিয়ে যাচ্ছে গভীর বিপদে। সম্প্রতিক এক সমীক্ষার পর আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শহরের আকাশছোঁয়া নির্মাণগুলি প্রতি বছর নিউ ইয়র্ককে ১-২ মিলিমিটার ডুবিয়ে দিচ্ছে। নির্মাণগুলির ভয়াবহ ওজনের জন্যই এই পরিস্থিতি। তাঁরা জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্কের সব গগণচুম্বি অট্টালিকার মোট ওজন প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন পাউন্ড। যা ১৪০ মিলিয়ন হাতির ওজনের সমান।
[আরও পডুন: যুদ্ধাবসানে সবরকম চেষ্টা করবে ভারত, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জেলেনস্কিকে আশ্বাস মোদির]
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এখনই ডুবন্ত শহরের কোনও সুরাহা না হলে শেষের সেদিন বেশি দূরে নয়। কারণ এর ফলে বৃষ্টি হলে বাড়বে জলস্তর। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলের তলায় চলে যাবে শহর। দুর্বল হবে ইমারতগুলি। কিন্তু উদ্ধারের উপায়? ইতিমধ্যে সেই চেষ্টাও শুরু হয়েছে। শহরের এভাবে মাটির নিচে বসে যাওয়া আটকাতে বেশ কয়েকজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে কমিটে গড়া হয়েছে। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নিউ ইয়র্কের তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে কাজ শুরু করেব জো বাইডেনের দেশ।