সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানহীনা মহিলাকে সন্তান ধারণে সাহায্যের নামে ধর্ষণের অভিযোগ। এমন অভিযোগ উঠল গুজরাটের (Gujarat) একটি মন্দিরের এক সাধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুজোপাঠ ও তন্ত্রমন্ত্রের নামে মোট তিনবার মহিলাকে মন্দিরে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান ওই সাধু। তৃতীয়বার মহিলাকে ধর্ষণ করেন তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত সাধুকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গুজরাটের গোধরা অঞ্চলের। শুক্রবার পঞ্চমহল থানায় সাধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। ওই মহিলা জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে বিয়ে হলেও মা হতে পারেননি তিনি। সেই কারণে স্থানীয় টিম্বি আশ্রমের রাম টেকরি মন্দিরে নিয়মিত যেতেন। সন্তান কামনায় পুজো দিতেন। মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াতের ফলে রামকৃষ্ণ কুমারের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। সাধু রামকৃষ্ণ আশ্বাস দেন, তাঁর কথা মতো নিয়ম মেনে পুজোপাঠ করলেই মা হবেন মহিলা।
[আরও পড়ুন: ‘BBC বিপজ্জনক, নিষিদ্ধ করা হোক’, দিল্লিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দপ্তরের সামনে পোস্টার হিন্দু সেনার]
সেই সূত্রেই আশ্রমের নিজের ঘরে দু’বার ডেকে পাঠান মহিলাকে। অভিযোগ, তৃতীয়বার পুজোপাঠের বদলে তাঁকে ধর্ষণ করেন রামকৃষ্ণ। অভিযুক্তের হাত মুক্তি পেয়ে পঞ্চমহল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। এর পরেই সাধু রামকৃষ্ণ কুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: তিন রাজ্যে ভোটের আগে আদিবাসী বন্দনা, মন কি বাতে গণতন্ত্রের জয়গান প্রধানমন্ত্রীর]
দেশে ধর্ষণের ঘটনার কমতি নেই। সম্প্রতি গাজিয়াবাদের ভয়ংকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ১১ বছরের কিশোরীর উপর সাতমাস ধরে লাগাতার গণধর্ষণ হয়। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। সন্তানের জন্ম দিতেও বাধ্য হয়। এই অমানবিক ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, গত বছর ১৫ জানুয়ারি থেকে ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন শুরু করে দু’জন। আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত নিজেদের যৌন চাহিদা পূরণ করতে থাকে দুই ভাই। শেষমেশ সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন কিশোরীর মা। তদন্তের পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ সেপ্টেম্বর চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।