অভিরূপ দাস: শুধু মাথায় রাখুন ৯৮৩০২-৯৭০৮৭ নম্বরটা। ব্যাস। ডায়াল করলেই কেল্লাফতে। দরজায় এসে বেল বাজাবে পাটিসাপটা, গোকুলপিঠে, আস্কেপিঠে, পুলিপিঠে! গল্প নয়, খাঁটি সত্যি। পৌষ সংক্রান্তির মুখে দুয়ারে পিঠে (Duare Pithe) প্রকল্প শুরু করল বঙ্গের এক মিষ্টান্ন ভান্ডার৷
হাওড়ার ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভান্ডারের নয়া এই উদ্যোগে কান অবধি হাসছেন পিঠে প্রেমিকরা। মকর সংক্রান্তিতে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় পৌষ পার্বণ উৎসব ছিল গা সওয়া। কিন্তু এবার করোনা (Coronavirus) আবহে সেসব বন্ধ। বঙ্গে ফি দিন গড়ে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। নতুন বছরের গোড়া থেকে বেড়েই চলেছে পজিটিভিটি রেট। স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ রাখা হয়েছে পাড়ার পিঠে পুলি উৎসব। আবার ওমিক্রন স্ট্রেনও মারাত্মক ছোঁয়াচে। ফলে দোকানে ভিড় করে পিঠে পুলি কিনতে যাওয়ার আগেও দু’বার ভাবছেন আমজনতা। সংক্রান্তি কি তবে পিঠে ছাড়াই কাটবে? দূর, তাও কি সম্ভব? ভিড় এড়িয়ে বাড়ি বসে যাতে নিশ্চিন্তে পিঠেপ্রেমীরা পিঠের স্বাদ ভোগ করতে পারেন, তারই ব্যবস্থা করল মিষ্টান্ন ভান্ডারটি।
[আরও পড়ুন: Booster Dose Fraud: সাবধান! করোনার বুস্টার ডোজের নামে প্রতারণার ফাঁদ, খোয়াতে পারেন সর্বস্ব]
নবান্ন (Nabanna) থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভান্ডারের সৈকত পাল জানিয়েছেন, “আমজনতার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি দুয়ারে পিঠে (Duare Pithe) প্রকল্প। এক ফোনে আমাদের অর্ডার দিতে পারবেন ক্রেতারা। বাড়িতে গিয়ে আমরাই পৌঁছে দিয়ে আসব বাহারি পিঠে-পুলি, পায়েসের সম্ভার। যাতে রয়েছে পাটিসাপটা, দুধ পুলি, মালপোয়াও।” আহা, মকর সংক্রান্তিতে ভোজনরসিক বাঙালি এর চেয়ে বেশি আর কী-ই চাইতে পারে? শীতকালে বাঙালি যে সব মুখরোচক খাবারে মন এবং পেট ভরায়, তার মধ্যে পিঠেই সর্বাগ্রে। এই শীতে দুয়ারে পিঠে প্রকল্প চালু হওয়ায় খুশি প্রত্যেকেই। আর দাম? একেবারে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই।