অভিষেক চৌধুরী, কালনা: তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) রাতের অন্ধকারে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির এক বুথ কর্মী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম অসীম হাজরা ওরফে দয়াল(৩৮)। তিনি কালনা থানার আটকেটিয়ার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা নজরে আসার পরই বিজেপির কর্মী কৃষ্ণচন্দ্র হাতিকে গাছে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ)ধ্রুব দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
কালনা ২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আটকেটিয়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম হাজরা ওরফে দয়াল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের লোকজন। এছাড়াও ভাল খোল বাজাতেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় স্থানীয় রামনগরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী কৃষ্ণচন্দ্র হাতি ও চার-পাঁচজন ব্যক্তি হরিনাম করার নাম করে বুড়োশিবতলায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৮টা নাগাদ অসীম হাজরাকে ধূমপান করতে পাশে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিলেন শুভেন্দু, এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নোটিস ইডির]
অভিযুক্তকে একটি গাছে বেঁধেও রাখেন স্থানীয় কয়েকজন। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপরই তৃণমূল কর্মীকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানায়। মৃতের ছেলে আশিস হাজরার অভিযোগ, “বিজেপির বুথ কর্মী কৃষ্ণচন্দ্র হাতি গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বাবাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। কারণ, বাবা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় হরিনাম করার নাম করে কৃষ্ণচন্দ্র হাতি ও চার-পাঁচজন ব্যক্তি বাবাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ওরা বাবাকে পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করে। পরিকল্পনা করে বাবাকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে কালনা ২ নম্বর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে অসীম হাজরা দেওয়াল লিখন থেকে দলের বিভিন্ন মিটিংয়ে থাকতেন। উনি আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হরিনাম চলাকালীন রাতের অন্ধকারে পরিকল্পনা করে বিজেপির ওই বুথ সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন তাঁকে খুন করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ হবেই।”