রাজা দাস, বালুরঘাট: দু’মাসের শিশুপুত্রকে খুন করে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ (Kumargunj) থানার ভোওর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রামে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার ভোওর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রামের বাসিন্দা বাবলু সোরেন। তাঁর স্ত্রী দীপালি সোরেন। দম্পতির ২ সন্তান। কর্মসূত্রে বাবলু থাকতেন ভিনরাজ্যে। গ্রামের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে থাকত দীপালি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে দীপালি সোরেন তার স্বামী বাপ্পাকে জানায়, ছেলে রাহুলকে বাড়িতে রেখে চলে গিয়েছে সে। এরপরই বাপ্পা আত্মীয়দের ফোন করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢুকে শিশুটির পচাগলা দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। সোমবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘শাহেনশাহরা এত টাকা পাচ্ছে কোথায়?’, বৈদিক ভিলেজ ‘বিজেপির বৃন্দাবন’, কটাক্ষ মমতার]
মৃত শিশুর কাকা অভিজিৎ সোরেন বলেন, বউদি দাদাকে ফোন করে জানায় যে, বাড়িতে বন্ধ ঘরে ছেলেকে রেখে গিয়েছে সে। দাদার কাছে বিষয়টি জানা মাত্রই তিনি ওই বাড়িতে যান। ঘরের মধ্যে একটি চাদর মোড়ানো অবস্থায় ভাইপোর পচাগলা দেহ উদ্ধার করেন অভিজিৎ। তাঁর অভিযোগ, বউদিই ভাইপোকে খুন করেছে। ছেলেকে খুনের পর মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। তবে এর পিছনে কী কারণ তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
সোমবার সকালে থানায় অভিযোগ করেছেন মৃত শিশুর কাকা অভিজিৎ সোরেন। ঘটনার পিছনে প্রণয় ঘটিত কোনও কারণ রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান স্থানীয়দের। কুমারগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “দুদিন আগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। খুন না অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির মায়ের খোঁজে তল্লাশির পাশাপাশি বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”