সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মা বিয়ের পাত্র ঠিক করেছিলেন মেয়ের জন্য। কিন্তু মেয়ের একেবারেই ইচ্ছে নয় সম্বন্ধ করে বিয়ে করার। এরপরই হবু বরকে গোপনে দেখা করার বার্তা পাঠান তিনি। আর সুযোগ বুঝে চড়াও হন তাঁর উপরে। মুহূর্তে তাঁর হাতের ছুরিতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনম।
ঠিক কী হয়েছিল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে পেশায় বিজ্ঞানী রামা নাইডুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২২ বছরের পুষ্পার। পুষ্পা হাইস্কুলের গণ্ডি ডিঙোতে পারেননি। তাঁর একেবারেই সায় ছিল না বাবা-মা’র পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করার। তিনি প্রথম থেকেই বিয়েতে আপত্তি করছিলেন। কিন্তু তাঁকে জোর করেই বিয়ে দিতে চাইছিলেন বাড়ির লোক।
[আরও পড়ুন: মাওবাদী হামলার আশঙ্কা, বাড়তি নিরাপত্তা চাইলেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের ৫ তৃণমূল নেতা]
সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এস গৌতমী জানাচ্ছেন, পুষ্পার কিন্তু কোনও পূর্ব অপরাধজনিত ইতিহাস ছিল না। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ তরুণী শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন চরম কিছু করার। আর সেইমতোই রামা নাইডুকে ডেকে পাঠান সারপ্রাইজ ডেটে। পুষ্পার সঙ্গে তিনটি ছুরি ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এরপরই ঘটে যায় ভয়ংকর সেই ঘটনা। ছেলেটিকে নিয়ে নিকটবর্তী পাহাড়ের উপরে উঠছিলেন তিনি। ওই পাহাড়ের চুড়োয় একটি মন্দির রয়েছে। তিনি বলেছিলেন রামার সঙ্গে সেই মন্দিরে যাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও সন্দেহ হয়নি হবু বরের। এরপরই সুযোগ বুঝে তিনি হাতের ধারাল ছুরি দিয়ে দিয়ে কোপের পর কোপ মারতে থাকেন তাঁর ঘাড়ে। এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান। দ্রুত রক্তস্নাত রামাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই তিনি চিকিৎসারত রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলেই জানা গিয়েছে।