দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ছেলে বাজপাখি অন্ত প্রাণ। তাই বাড়িতে পুষেছিল। তাতে আপত্তি ছিল মায়ের। ঝগড়াঝাটি চলছিল। তারই মাঝে বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রিয় পোষ্যর দেহ। তাতেই মাথার ঠিক রাখতে পারেনি। মারধরের পর মাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পোষ্যর প্রেমে পাগল যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার বালি ২ পঞ্চায়েতের বিজয়নগর গ্রামে চাঞ্চল্য। পলাতক অভিযুক্ত।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার (Gosaba) বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার বিশ্বাস। প্রায় কুড়ি বছর আগে গোসাবা গ্রামের সাবিত্রী বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। দম্পতির এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে সুকুমার ও সাবিত্রী দাম্পত্য তেমন সুখের নয়। ইদানীং পেশায় ভ্যান চালক সুকুমার কলকাতার গড়িয়াতে অন্য এক মহিলার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার ‘বন্ধু’র হাতে খুন ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী, রায়গঞ্জে বধূহত্যায় চিহ্নিত অভিযুক্ত]
এদিকে, সুকুমার ও সাবিত্রীর একমাত্র পুত্রসন্তান ভোলানাথ বিশ্বাস বাড়িতে একটি বাজপাখি পোষেন। ছেলের এমন আবদার মোটেই পছন্দ হত না সাবিত্রীর। পাখি নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে প্রায়ই বচসা হত বলে দাবি প্রতিবেশীদের। অভিযোগ, শনিবার রাতে ছেলের অবর্তমানে পাখিটি মেরে ফেলেন মা। বাড়ি ফিরে নিজের পোষ্যকে মৃত অবস্থায় দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেনি ভোলানাথ।
অভিযোগ, আচমকা তার মাকে বেধড়ক মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় বলেও অভিযোগ। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতেই পুড়ে যায় মহিলার শরীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছেলে। রবিরার সকালে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গোসাবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও অভিযুক্তকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি গোসাবা থানার পুলিশ।