অর্ণব আইচ: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে মৃত্যু হল আরও এক যুবকের। মৃতের নাম সুজয় মণ্ডল। কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা তিনি। এই ঘটনায় CESC-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানার পরই দুঃখপ্রকাশ করেছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
বঙ্গে পা রেখেই ঝোড়ো ইনিংস বর্ষার (Monsoon)। তার উপর আবার নিম্নচাপ। দুয়ের সাঁড়াশি চাপে রাজ্যজুড়ে চলছে দুর্যোগ। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন বহু এলাকা। একই পরিস্থিতি খাস কলকাতার। জল-যন্ত্রণায় নাজেহাল আমজনতা। শুক্রবার বিকেলে পাটুলির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল সেই জমা জলেই মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই সময় কোনওভাবে ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে তড়িদাহত হন তিনি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় পাটুলি থানার পুলিশ ও CESC-এর আধিকারিকরা। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে উদ্ধার করা হয় সুজয়কে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘাযতীন হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সিইএসসির তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মাত্র একবছর আগে বিয়ে করেছিলেন সুজয়। পেশায় গ্রিল কারখানার কর্মচারী তিনি। তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এই পরিস্থিতিতে যুবকের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় শুরু মেট্রো পরিষেবা, জেনে নিন সময়সূচি]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে জোকার নবপল্লির কাছে জমা জলের মধ্যে একটি মোটরবাইক পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন আরোহী। প্রাথমিক অনুমান, প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে এই এলাকায় জল জমেছিল এবং তার মধ্যে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। বাইক আরোহী মানিক বাড়ুই তা খেয়াল না করেই সম্ভবত যাচ্ছিলেন। সেসময় বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।