শাহাজাদ হোসেন ও চন্দ্রজিৎ মজুমদার: গ্রাম্য বিবাদের জেরে দু’পক্ষের বোমাবাজি, চলল গুলি। বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হল নাজির হোসেন(৩৫) নামে এক ব্যক্তির। জখম হয়েছেন তাঁর ভাই সেতারুল শেখ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফারাক্কায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছিলেন ফরাক্কা পুলিশের এসডিপিও রাজপ্রীত সিং ও আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দুয়া মোড়ে পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে বচসা বাঁধে নাজির হোসেন ও পাক্কা শেখের। কথা কাটাকাটি থেকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়৷ এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে দু’পক্ষ শান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। গ্রামে ফিরে দু’পক্ষ বোমা-পিস্তল নিয়ে একে অপরের প্রতি চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি। অগ্নিগর্ভ হয়ে সমগ্র এলাকা। চলে এক রাউন্ড গুলি। সংঘর্ষের সময় নাজির হোসেন এক বালতি বোম নিয়ে ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পরে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি জখম নাজির হোসেনকে উদ্ধার করে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরিবারের লোকেরা নাজির হোসেনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: সুন্দরবন উপকূলে নজরদারি বাড়াতে ব়্যাডার, আকাশপথে থাকছে আধুনিক হেলিকপ্টারও]
এদিকে নাজির হোসেনের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই পরিস্থিতি আরও উওপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকায় তীব্র উওেজনা থাকায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। গুলিবিদ্ধ হলেন দুই মহিলা-সহ তিন জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। উত্তেজনা জারি রয়েছে এলাকায়।