রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের যুবক। প্রেমিকার তৎপরতায় যুবকের বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে উদ্ধার করে দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
নদিয়ার তেহট্টের বেতাইয়ের বাসিন্দা অনুপম বিশ্বাস। পাশের গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। বন্ধুরা তা জানত। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ২ টো নাগাদ অনুপমের প্রেমিকা তাঁর বন্ধুদের ফোন করে বলেন, “তোমরা ওকে বাঁচাও, ও আত্মহত্যা করবে। রান্নাঘরে আছে।” তড়িঘড়ি অনুপমের বাড়িতে ফোন করেন তাঁর বন্ধুরা। যুবকের বাবাকে জিজ্ঞেস করে অনুপমের কথা। ফোন পেয়ে উঠে গিয়ে দেখেন ছেলে ঘরে নেই। ততক্ষণে অনুপমের বন্ধুরা পৌঁছে গিয়েছে তাঁর বাড়িতে। এরপর রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় অনুপম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনুপমের বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: সাংগঠনিক বৈঠকে বনগাঁ জেলা BJP, ৩ বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরেই হাজার প্রশ্ন]
অনুপমের বন্ধুরা জানিয়েছেন, মৃতের প্রেমিকা শনিবার গভীররাতে প্রায় সবাইকেই ফোন করেছিল। মৃতের বাবা অনন্ত বিশ্বাস বলেন, “ছেলের বন্ধুরা রাতে আমাকে জিজ্ঞেস করে অনুপম কোথায়। আমি বলি ঘরে আছে। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখি ছেলে নেই। এমন সময় ছেলের বন্ধুদের কাছ থেকে ফোন আসে যে ও রান্নাঘরে রয়েছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি সিলিংয়ে একটি গামছা বাধা থাকলেও ছেলে মাটিতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।” ছেলের মৃত্যুর আসল কারণ কী, দ্রুত তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন অনন্তবাবু। ছেলের মৃত্যুর পিছনে যে বা যাঁরা রয়েছে, তাঁদের কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে যুবকের মৃত্যুর কারণ।