সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় ৫০ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। শুরু হয়েছে শুনানি প্রক্রিয়া। আশঙ্কা আরও অনেকের নাম বাদ যেতে পারে! এই নিয়ে বাঁকুড়ার বড়জোড়া সভায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তোপ দাগলেন কমিশনের সীমা খান্নার বিরুদ্ধে। বললেন, "দিল্লিতে কমিশনে বিজেপির আইটি সেলের লোক বসে রয়েছেন, ইআরওদের নামে মিথ্যা কথা বলে এআই দিয়ে ৫৪ লক্ষ নাম বাদ দিয়েছে।"
ইলেকশন কমিশনের ডিআইজি তথ্যপ্রযুক্তি পদে কর্মরত সীমা খান্না। এই সীমার বিরুদ্ধে আগেই তোপ দেগে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, কমিশনের অ্যাপ ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাই মূল 'কলকাঠি'টি নাড়ছেন। এবার মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভা থেকে নাম না করে সীমাকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "দিল্লিতে কমিশনে বিজেপির লোক বসে আছেন। তিনি ইলেকশন কমিশনের অফিসে বসে ইআরওদের নামে মিথ্যে কথা বলে, ওই নামগুলো নাম বাদ দিয়েছে। ইআরওদের অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ওরা এই কাজ করেনি।" মমতা আরও বলেন, "এগুলি ছেড়ে দেবেন না। তালিকায় নাম তোলা আপনাদের অধিকার। না হলে ঘিরে বসে থাকবেন।"
নাম বাদ যাওয়া ভোটারদের ফের ফর্ম পূরণের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "৫৪ লক্ষে নাম বাদ গিয়েছে। তারা ৭ ও ৮ নম্বর ফর্ম ফিলআপ করবেন। এটা আপনার অধিকার।" নাম বাদ যাওয়া নিয়ে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, "কারও পদবি সিংহ। ইংরেজিতে সেটা সিনহা হয়। ব্যস নাম বাদ।" তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদারের ছেলেদের হিয়ারিংয়ে ডাকা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, বিএলএদের হিয়ারিং রুমে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, কোন আইনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? পাশাপাশি কমিশনের উদ্দেশে বলেন, "লিখিত নির্দেশিকা দিন। হোয়াটসঅ্যাপ করছে। হোয়াটসঅ্যাপের কোনও ভ্যালু নেই। আমি আদালতে যাব। জনতার ও মানুষের আদালতে যাব।"
