সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিল যুবক। বাবা-মা ভাবতেও পারেননি কী বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। মাঝ রাতে নিজের ঘরে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গেম অথবা প্রেমে জটিলতার কারণেই এই পরিণতি যুবকের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের চকনিতাইয়ের বাসিন্দা প্রদীপ বাগ নামে ওই যুবক। বয়স ২৫ বছর। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, দিনভর মোবাইল ফোনেই ব্যস্ত থাকত প্রদীপ। গেম ছাড়া কোনও কিছুতেই আগ্রহ ছিল না। এভাবেই দিন কাটছিল। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে চলে যায় প্রদীপ। ঘুমিয়ে পড়েন তাঁর বাবা-মা। মাঝ রাতে গুলির শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে পরিবারের সদস্যদের। ছুটে প্রদীপের ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, বিছানা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। পাশে পড়ে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। তড়িঘড়ি প্রদীপকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে স্কুলে পাঠদানের নয়া মডেল তৈরি করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলার শিক্ষক]
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, গেম নিয়ে অশান্তির কারণেই হয়তো আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত। এই ঘটনার নেপথ্যে প্রেমঘটিত কোনও কারণ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে প্রশ্ন উঠছে, আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন প্রদীপ। পরিবারের দাবি, এই আগ্নেয়াস্ত্র আগে দেখেননি তাঁরা। কোথা থেকে ছেলে এই অস্ত্র, গুলি পেল সে বিষয়ে সম্পূর্ণ ধোঁয়াশায় পরিবারের সদস্যরাও। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃত্যুর কারণ। প্রয়োজনে মৃতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা হবে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।