শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: স্ত্রীকে আটকে রেখেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই অভিযোগে এবার ধরনায় বসলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের যুবক। স্ত্রীকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেই জানিয়েছন তিনি।
বছর চারেক আগে সামশেরগঞ্জের দেবিদাসপুরের মরিয়াম খাতুনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয় কাফি শেখের। পরবর্তীতে দুই পরিবারই জেনে যায় তাঁদের সম্পর্কের কথা। এরপরই সমস্যার শুরু। কাফির সঙ্গে সম্পর্ক কোনওদিনই মেনে নেয়নি মরিয়ামের পরিবার। পরবর্তীতে প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে যুগল। কিন্তু প্রথম দু’বার লাভের লাভ কিছুই হয়নি। পালালেও শেষ অবধি মেয়েকে ফিরিয়ে আনে মরিয়ামের পরিবার। এরপর বছর খানেক আগে পালিয়ে বিয়ে করে ওই যুগল। শুরু করে সংসার। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সবকিছু। বিয়ের মাস সাতেক পর বেকার জামাইয়ের সংসার থেকে মেয়েকে নিয়ে আসে মরিয়ামের মা। অভিযোগ, এরপর আর তাঁকে স্বামীর সংসারে ফিরতে দেয়নি পরিবার। কাফি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
[আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানে নিহত উলেন রায় ‘মদ্যপ’, বিতর্কিত মন্তব্য রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের]
এরপরই বুধবার সকালে পোস্টার হাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন কাফি। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যুবকের দাবি, অবিলম্বে তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাঁর কথায়, “তৃতীয়বার পালিয়ে বিয়ে করতে সক্ষম হই। সংসারও ভালই চলছিল। মরিয়াম আমার সঙ্গেই থাকতে চায় পরিবার ওকে জোর করে আটকে রেখেছে।” এবিষয়ে মরিয়াম বা তাঁর পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, হারানো ভালবাসা ফিরে পেতে প্রথমে ধরনার পথে হেঁটেছিল ধূপগুড়ির অনন্ত। জয়ীও হয়েছিল। তাঁরপর একে একে অনেকেই তাঁর পথে হেঁটেছেন। তবে সকলে সফল হননি। কী রয়েছে কাফির ভাগ্যে? সে দিকেই তাঁকিয়ে তাঁর পরিবার।