ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একদিকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট, অন্যদিকে 'গেরুয়া' বাধা উপেক্ষা করে কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মেগা অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক বিরতি থেকে ফিরে সেই মঞ্চে ভাষণ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর বক্তব্যের শুরুতেই তাঁর সাফ অভিযোগ, একটা স্পর্শকাতর, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। আবারও ধর্ষণের মতো অপরাধ রুখতে কেন্দ্রকে কড়া আইন আনার কথা বললেন তিনি। মোদি সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বললেন, ''আগামী ৩, ৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্র কড়া আইন প্রণয়ন না করলে দিল্লিতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। প্রয়োজনে সাংসদ হিসেবে আমার নিজের অধিকার বলে আলাদা করে বিল (প্রাইভেট মেম্বার বিল) আনব।'' পাশাপাশি, বিজেপির বন্ধকে তোপ দেগে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ''আপনারা পারলে প্রতি ২৮ আগস্ট বন্ধ ডাকুন। কী করে প্রতিহত করতে হয়, দেখিয়ে দেব।''
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ''যারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে, বলে রাখি NCRB তথ্য বলছে, যাদের রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা সবথেকে বেশি হয়েছে, সেখানে উত্তরপ্রদেশ প্রথম, তার পর মধ্যপ্রদেশে, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কারা? ডবল ইঞ্জিন সরকার। পারলে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করবেন, তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলবেন। তাঁরা বলছেন, দাবি এক দফা এক/ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলি, দাবি এক দফা এক/ ধর্ষণ বিরোধী আইন।''
[আরও পড়ুন: বন্ধের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাই কোর্টে, মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা]
নারী নির্যাতনের একেকটি ঘটনা তুলে ধরে কেন্দ্রকে লাগাতার আক্রমণের মাঝেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC)সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মোদি সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জের সুরে তৃণমূল সাংসদ জানালেন, ''আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি এই আইন না আনে, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে তৃণমূল রাস্তায় নামবে। আমরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখব। আমাদের চাই ধর্ষণ বিরোধী আইন। কেন্দ্র যদি না আনে তাহলে আমি নিজে প্রাইভেট মেম্বার বিল এনে এই আইন মুভ করব। সাংসদের সেই অধিকার আছে।''