shono
Advertisement

Abhishek Banerjee: ‘আমিই পাহারাদার, অদৃশ্য চোখ সবার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে’, কড়া বার্তা অভিষেকের

কারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন, জানিয়ে দিলেন অভিষেক।
Posted: 04:20 PM Feb 04, 2023Updated: 04:22 PM Feb 04, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে তৃণমূলের ‘পাহারাদার’ হিসেবে তুলে ধরলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, কোনও দাদা-দিদিকে ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট পাওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষের সার্টিফিকেট দিলে তবেই প্রার্থী করা হবে। দলীয় কোন্দল রুখতে শনিবার কেশপুরের সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “অদৃশ্য চোখ সবার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে, সবাইকে সচেতন করে দিয়ে যাচ্ছি। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি।”

Advertisement

কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। দলের অন্দরের খবর, নেতাদের ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ক্ষতি হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠনের। যদিও মঞ্চ থেকে অভিষেকের দাবি, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তাঁর কথায়, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলে আজকের সভায় এত লোক আসত না।” তবে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য দলকে ব্য়ববহার করা যাবে না বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “তিন-চারটে নেতার রেষারেষির জন্য় দল দুর্বল হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলবা না। সময় দিচ্ছি শুধরে যান না হলে এমন ওষুধ প্রয়োগ করব যে শোধরানোর সময় পাবেন না।”

[আরও পড়ুন: সহজ সুযোগ নষ্ট করেও দিনান্তে রোনাল্ডোই ত্রাতা, আল নাসের ক্লাবের হয়ে খাতা খুললেন পর্তুগিজ নায়ক]

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কারা টিকিট পাবে, কারা পাবে না, সেটা ঠিক করবে আমজনতা। যারা সাধারণ মানুষের জন্য় কাজ করছে, তারাই ভোটের প্রার্থী হবে। কারওর তল্পিবাহকতা করে ভোটের টিকিট পাওয়া যাবে না। এদিন ফের একবার তা মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়,”যারা ৫ বছর ঢেলে মানুষের জন্য কাজ করবে, তারাই পঞ্চায়েতের প্রার্থী হবে। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই মিলবে টিকিট। যারা তা করবে না, তাদের জন্য ব্যবস্থা নেবে দল।” তিনি যে দলের নিচুতলার কর্মীদের উপরও কড়া নজর রাখছেন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন এদিন।

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবেন। আমিও নজর রাখছি। ফাঁক গলে কোনও নাম বেরিযে যাবে, এমনটা ভাববেন না। এরপরই তাঁর সংযোজন, “কেশপুরে যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা জানেন, কে সিপিএম, কে বিজেপি, কে তৃণমূল। কে মানুষের পাশে ছিল, কে ছিল না। যাঁরা ভাবছেন যে, তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনের সময় এক কাজ করব, আর নির্বাচন পরে আবার জামা পালটে তৃণমূল হয়ে তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছা তাই করব। অদৃশ্য চোখ সবার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে, সবাইকে সচেতন করে দিয়ে যাচ্ছি। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি।”

[আরও পড়ুন: সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের ভিডিও কি এখানেই দেখানো হবে? OTT প্ল্যাটফর্মের পোস্টে জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার