ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের মুশকিল আসান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিযোগ জানানোর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর কাছে পৌঁছে গেল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। স্বাভাবিকভাবে অভিযোগ জানানোর কয়েকঘণ্টার মধ্যে সমস্যা সমাধান হওয়ায় আপ্লুত দুর্গাপুরের (Durgapur) বাসিন্দা। ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কর্মসূচি সেড়ে বাঁকুড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় তাঁর কাছে সাহায্য চান এক ব্যক্তি। জানান, তাঁর পরিবারের এক সদস্য দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে ভরতি। কিন্তু পরিবারের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় চিকিৎসা বাধা পাচ্ছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও ছিল না তাঁর। জানতে পারার পরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে রামকৃষ্ণ মিশনের জয়জয়কার, মেধাতালিকায় স্বরাজের পাশে রিফাত-ফাহিমরা]
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সঙ্গে রোগীর সুস্থতা কামনায় পৌঁছে দেওয়া হয় ফলও। পাশাপাশি, দুর্গাপুরের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও আর্থিক সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় আপ্লুত দুর্গাপুরের ওই বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে আরএসএসের এক কর্মী পূর্ব বর্ধমানে রোড শো চলার সময় অভিষেকের কাছে এসে তাঁর সমস্যার কথা জানান। সেটিও তিনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে এই বিষয়টি ইঙ্গিত করেই জামুরিয়াতে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত খুশি যে, বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীরাও তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমার কাছে আসছেন। আসলে ওদের সঙ্গে কথা বলার পর আমার উপলব্ধি হয়েছে, বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীরা ওঁদের দিল্লির নেতাদেরও বিশ্বাস করেন না। একমাত্র দিদিই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ওঁদের সাহায্য করতে পারেন।’’