নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হাতে ইস্যু অনেক। সরকারের একাধিক ‘জনবিরোধী’ নীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস, করোনা, কৃষি আইন। কোন ইস্যু নিয়ে সংসদের ভিতরে সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা হবে, নিজেদের অবস্থান কীভাবে জনমানসে তুলে ধরা হবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে দিল্লিতে সেই আলোচনাই সারলেন তৃণমূল সাংসদরা। সঙ্গে ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হওয়ার পর এটাই অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায়ের প্রথম দিল্লি সফর। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে TMC যখন সর্বভারতীয় স্তরে আরও প্রবলভাবে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে, তখন দিল্লি সফরে অভিষেক কী ভূমিকা নেন, সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এদিন সকাল থেকে দলের অন্য সাংসদদের সঙ্গে সংসদেই ছিলেন অভিষেক। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তিনি। সংসদের অধিবেশন সাময়িক মুলতুবি হতেই সোজা অভিষেক-সহ TMC সাংসদরা চলে যান রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দিল্লির বাড়িতে। সেখানে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিলেন আরেক রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
[আরও পড়ুন: হিন্দি সংবাদপত্রের অফিসে আয়কর হানা, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অভিযোগে সরব Mamata]
সেই সংক্ষিপ্ত সময়েই দলের রণকৌশল নিয়ে বৈঠক সেরে নেন অভিষেক। দলের লোকসভার ২২ জন সাংসদ, রাজ্যসভার ১১ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুখেন্দুর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর এবং যশবন্ত সিনহা। বাজপেয়ীর আমলের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত (Yashwant Sinha) সংসদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। তাই তাঁর কাছে তৃণমূল সাংসদরা নানারকম পরামর্শ নিতেই পারেন। তবে বৈঠকে পিকের উপস্থিতি বেশ চমকপ্রদ। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সংক্ষিপ্ত ওই বৈঠকে বিশেষ কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সাংসদে কী নীতি হবে, মমতার দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা করবেন, সেসময় দলের সাংসদদের অবস্থান কী হবে। এসব নিয়ে কথা হয়। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যে বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত, সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হবে না, সেটা ধরে নেওয়া ভুল হবে।
[আরও পড়ুন: স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট, জেলে উত্তরপ্রদেশের অধ্যাপক]
যাই হোক, বৈঠক শেষে দলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় (Saugata Roy) দাবি করেছেন, সংসদে তৃণমূলের প্রথম এবং প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে পেগাসাস। তাঁর বক্তব্য, “পেগাসাস ইস্যু নিয়ে শেষপর্যন্ত লড়ব। যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা লড়ব। এখন আমরা অধিবেশন বন্ধ করতে ব্যস্ত।”