সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে খরচ হচ্ছে বিপুল। যৌথ প্রকল্পগুলির জন্য কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার সেই পাওনা আদায়ের দাবিতে সুর আরও চড়ালেন নেতানেত্রীরা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নেমেছেন ধরনায়। রেড রোডে ৩০ ঘণ্টার ধরনা শুরু হয়েছে। আর তাঁকেই সামনে রেখে দলের ছাত্র-যুব সংগঠনকে আন্দোলনে নামার সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বললেন, ”এই সভা তো ট্রেলার, আগামিদিনে দিল্লিতে বড় আন্দোলন হবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে দিল্লি অচল করে দেব।”
বুধবার শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র ও যুব সংগঠনের সমাবেশের প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ মিনারের যেখানে ডিএ (DA) আন্দোলনের মঞ্চ, ঠিক তার উলটোদিকেই এই সভামঞ্চ। ফলে নিরাপত্তার অনেক কড়াকড়ি ছিল। তবে সেই কড়াকড়ির মাঝেও তৃণমূল ছাত্র-যুবদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘাসফুলের প্রতীকে সেজে সভাস্থলে হাজির সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ, সরব চাকরিহারাদের আইনজীবী]
দুপুর ২ টোয় সভার নির্ধারিত সময় থাকলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন একটু দেরিতে। শুরুতেই তিনি ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের সুর বেঁধে দেন। বলেন, ”আজকের এই সভায় যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। তবে এটা তো ট্রেলার। আগামিদিনে দিল্লির দরবারে আরও বড় আন্দোলন করব। দিল্লি অচল করে দেব।” এ প্রসঙ্গে ইডি-সিবিআইয়ের লাগাতার ‘অতিসক্রিয়তা’র কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ”কথায় কথায় সিবিআই? ২১ মাসে ২১টা সিবিআই হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে ১০০ টা সিবিআই করুন। কিন্তু ১০০ দিনের কাজের জন্য ১৭ লক্ষ মানুষের টাকাটা আগে ছাড়ুন। না হলে আমি কিন্তু দিল্লি অচল করে দেখাব। বাংলার পাওনা দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব।”
[আরও পড়ুন: ১৫ কিলো সোনা-রুপো, ১০০ বিঘা জমি! বোনের বিয়েতে ৮ কোটি টাকার পণ দিলেন দাদারা]
অভিষেক আরও বলেন, ”বাংলার মানুষ মাথা নত করতে জানে না। মানুষের কাছে মাথা নত করব, দিল্লির দানবদের কাছে মাথা নত করব না। অনেকে রোজা রেখে এসেছেন। আপনাদের রোজা যেন কবুল হয়।” প্রসঙ্গত, দলের ছাত্র-যুব সংগঠনকে লড়াইয়ের ময়দানে নামাতে অভিষেক এদিন সম্পূর্ণতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই হাঁটলেন। এতদিন তিনি বলতেন, কেন্দ্রের টাকার দরকার নেই। রাজ্য নিজের খরচেই সব প্রকল্প চালাবে। কিন্তু এদিন তাঁর সুর ছিল ভিন্ন।