সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতের পর ফের সোমবার দুপুরে ইডির দপ্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। তদন্তকারীদের ফোন পেয়ে এদিন সময়মতো আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তিনি। মেনকার আচরণে এটা স্পষ্ট যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
আগের নোটিস অনুযায়ী, রবিবার রাতেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেনকা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বোঝা যায় নোটিস ছাপার সময় ভুল ছিল। সেই ভুল স্বীকার করে নেয় ইডি। কয়লাপাচার মামলায় এদিন তাঁকে ফের তলব করা হয়। ফোন করে ডাকা হয় মেনকাকে।
[আরও পড়ুন: এলাহি খাওয়াদাওয়া, মিছিলে আসতে নগদ! বিজেপির নবান্ন অভিযানে খরচ ১১ কোটি, দাবি তৃণমূলের]
তলব পাওয়ার পর আর দেরি করেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। গাড়ি থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা মেনকা বলেননি। সোজা লিফটে উঠে ইডির দপ্তরে পৌঁছে যান।
প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সূত্রে তাঁকে নোটিস পাঠায় ইডি। মেনকা গম্ভীরের আইনজীবীর দাবি, ইডির নোটিসে বলা ছিল, ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে বারোটায় ইডি অফিসে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতোই ইডির কলকাতা দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৪ দিনের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, একগুচ্ছ কর্মসূচি দুই মেদিনীপুরে]
জানা গিয়েছে, মেনকা যখন পৌঁছন সেইসময় সিজিও কমপ্লেক্সের মূল গেটে তালা ঝুলছে। নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে তালা খুলিয়ে ভিতরে ঢোকেন তিনি। লিফটে চড়ে ইডির দপ্তরেও পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না বলে দাবি মেনকা এবং তাঁর আইনজীবীর। ফলে হাজিরা না দিয়েই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এই ঘটনার পর ইডির নোটিস ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় ইডি। জানায়, নোটিসে ছাপার ভুল ছিল। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় ফের মেনকাকে তলব করেছে ইডি।