অর্ণব আইচ: নজরুল মঞ্চে কেকে’র অনুষ্ঠানের সময় ব্যবস্থাপনার দিকে যথেষ্ট নজর দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। অনেকেই বলছেন, প্রশাসনিক ‘ব্যর্থতা’ই পরোক্ষে সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে দায়ী। কেকে’র মৃত্যুর তিনদিনের মাথায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ খণ্ডন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ভিড় বেশি থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ কমিশনারের দাবি, এসি ঠিকঠাকই কাজ করছিল।
পুলিশ কমিশনার জানান, কেকে’র অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে দর্শকাসনের তুলনায় ভিড় কিছুটা বেশিই ছিল। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ভিড় হলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই মত তাঁর। সেদিন নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তার দিকটি দেখভালের দায়িত্ব ছিলেন একজন ওসি এবং তিনজন ইন্সপেক্টর। ভিড় হঠাতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবহার করা হয়েছিল। এসি ঠিকঠাক কাজ করছিল। কলকাতা পুরসভার থেকে সে তথ্য পুলিশ সংগ্রহ করেছে। অনুষ্ঠানে প্রচুর ভিড় হলেও তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই জানান পুলিশ কমিশনার।
[আরও পড়ুন: ধন্য মেধা! সেভেনে পড়ার সময়ই দশম শ্রেণির দিদিকে পড়াত মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া অর্ণব]
তবে ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে বলেই জানান পুলিশ কমিশনার। এবার থেকে যেকোনও অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের যথোপযুক্ত বন্দোবস্ত করতে হবে। দর্শকাসন অনুযায়ী দর্শক অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করছেন কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান চলাকালীন থাকতে হবে চিকিৎসক। অনুষ্ঠানস্থলে রাখতে হবে অ্যাম্বুল্যান্স। শুক্রবার সমস্ত শর্ত মেনেই নজরুল মঞ্চে অনুপম রায়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। ঘামতে থাকেন সংগীত শিল্পী। বারবার জোরাল আলো নেভানোর কথা বলেন। এরপর অনুষ্ঠান শেষে এসপ্ল্যানেডের অভিজাত পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছন কেকে। অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকে। সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন কেকে।অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়। তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্টে স্পষ্ট যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সংগীত শিল্পীর।