সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিট কেলেঙ্কারিতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নাম জড়াতে গিয়ে উলটে বিপাকে বিজেপিই। এবার আরজেডির তরফে পালটা প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড অমিত আনন্দের সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর (Samrat Chowdhury) ছবি প্রকাশ্যে আনা হল। তেজস্বীর দলের দাবি, নিটে অভিযুক্ত অমিতকে অতীতে সংবর্ধনাও দিয়েছেন প্রভাবশালী মন্ত্রীরা। সেই ছবি এখন সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিটের একেকটা প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩২ লক্ষ টাকায়! দিন দুই আগেই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন প্রশ্নফাঁস মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ‘মাস্টারমাইন্ড’ অমিত আনন্দ। পাটনার বাসিন্দা অমিত প্রশ্নফাঁস মামলায় বিহার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, অমিত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন পরীক্ষার একদিন আগে প্রশ্নপত্র তাঁর হাতে এসেছিল। সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ লক্ষ টাকায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অমিত (Amit Anand) বেআইনি ভাবে একটি কোচিং তথা পরামর্শদাতা সংস্থা চালাতেন।
[আরও পড়ুন: হলং বাংলোয় শর্ট সার্কিট কীভাবে? নেপথ্যে উঠে আসছে ইঁদুরের গল্প!]
আরজেডির (RJD) দাবি, এই অমিত আনন্দের সঙ্গে বিহার সরকারের মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এমনকী অমিতকে অতীতে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সংবর্ধনাও দিয়েছেন। এদিন আরজেডির তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট অমিত এবং সম্রাট চৌধুরীর একটি ছবি পোস্ট করেছেন। আরজেডি বলছে, "নিট কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। অভিযুক্তকে সংবর্ধনা দেওয়ার সেই ছবি সরিয়েও দিয়েছেন।" আসলে একদিন আগেই নিটের অন্যতম অভিযুক্ত সিকন্দরপ্রসাদ যাদবেন্দুর সঙ্গে তেজস্বীর নাম জড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিহারের আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিনহা। তাঁর দাবি ছিল, পাটনায় অভিযুক্ত সিকন্দরপ্রসাদ যাদবেন্দুর থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তেজস্বীর (Tejaswi Yadav) সহকারী। সেই অভিযোগ ওঠার পরদিনই পালটা এল আরজেডির তরফে।
[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখভার, প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি]
এদিকে শুক্রবারও নিটের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নতুন করে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিট বাতিলের দাবিতে নতুন যে মামলাগুলি হয়েছে, সেগুলিও আগের মামলাগুলির সঙ্গে শোনা হবে। শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ জুলাই।