স্টাফ রিপোর্টার: ফের সিপিএমে ফিরছেন দমদমের জোড়া খুন মামলায় যাবজ্জীবন খেটে আসা দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়! দীর্ঘ ২০ বছর পর তাঁকে আবার দলে ফিরিয়ে নিতে চলেছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
দমদমের জোড়া খুন মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন সিঁথি—পাইকপাড়া এলাকার সিপিএমের একদা এই দাপুটে নেতা। ২০০২ সালের ৪ মার্চ দমদমের জোড়া খুনের মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন দুলাল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর নির্দেশে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ২০০৩ এর ২৯ আগস্ট সাজা হয়। তারপরই তাঁর সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়। বহিষ্কার করা হয় পার্টি থেকে। যাবজ্জীবন সাজা খাটার পর ২০১৪—এর ১৪ জুলাই মুক্তি পান তিনি। দুলালকে ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হতে চলেছে তার ইঙ্গিতও মিলেছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়।
[আরও পড়ুন; জাতীয় পতাকা দিয়ে মুরগির দোকানের আবর্জনা পরিষ্কার, ভাইরাল ভিডিও, গ্রেপ্তার যুবক]
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, ‘‘যারা একটু দুরে চলে গিয়েছিলেন, নড়ে গিয়েছিলেন, সরে গিয়েছিলেন। তাদের দিকেও আমরা দু’হাত বাড়িয়ে সঙ্গে নিচ্ছি। যারা দূরে যায়নি, তারা তো আছেনই।’’ অন্যদিকে, পার্টিতে ফেরা প্রসঙ্গে দুলালের বক্তব্য, ‘‘পার্টি আমাকে ফিরিয়ে নিলে গর্বিত বোধ করব। সত্তর অতিক্রান্ত বয়সেও পার্টির জন্য আমি জীবন দিতে প্রস্তুত।’’ জোড়া খুন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুলালের দাবি, ‘‘আমার রোখা মেজাজ, ঠোকা কপাল হতে পারে। কিন্তু অনৈতিক কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত থাকিনি।’’ কলকাতা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে দুলালকে দলে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
হকার উচ্ছেদ—সহ একাধিক ইস্যুতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছিল দুলালের। একদা সিপিএমের বাহুবলী নেতা হিসেবে পরিচিত দুলালকে ২০২৪—এর লোকসভা ভোটের আগে সক্রিয় করতে চাইছে সিপিএম। জোড়া খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খেটে আসা দুলালকে ফের সিপিএমে ফিরিয়ে নিলে এলাকায় পার্টির ভাবমূর্তি সম্পর্কে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করছে দলের একাংশ। বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে আলিমুদ্দিনকে।