সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেহারা নিদারুণ ভয়ঙ্কর। ওই একটা অ্যাসিড বাল্ব। যা বদলে দিয়েছে পুরো জীবনের সমীকরণ। চামড়া কুঁচকে, মাংস এদিক থেকে ওদিক হয়ে ঝুলে পড়েছে ত্বক। অ্যাসিডে পুড়ে গিয়ে চেহারাটাই বদলে গিয়েছে মেয়েটির। তাতে কী? হারিয়ে যায়নি তাঁর প্রতিভা। সে এখনও রং-পেনসিল, তুলি আঁকড়ে বসে। মনের কথাগুলো, পছন্দ-অপছন্দগুলো রংয়েই ফুটিয়ে তোলে। এরকমই একজন অ্যাসিড আক্রান্ত যোদ্ধা মনীশা মরোদিয়া প্রজাপতি। মনীশা একজন প্রতিভাধর শিল্পী। দীপিকার অন্ধ ভক্ত। সম্প্রতি, দীপিকার ‘ছপাক’ লুক দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এঁকে ফেলেছেন প্রিয় শিল্পীর অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়া ক্ষত-বিক্ষত মুখের ছবি। এই ছবি তিনি পৌঁছে দিতে চান দীপিকা অবধি। আর সেই জন্যই নিজের আঁকা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মনীশা।
[আরও পড়ুন: পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা, কিশোরীকে খুনের অভিযোগে ধৃত বাবা-সহ ৩]
মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘ছপাক’-এর শুটিং শুরু হয়েছে সদ্য। আপাতত ছবির শুটিং চলছে দিল্লিতে। অ্যাসিড আক্রান্ত যোদ্ধা লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনকাহিনির নেপথ্যে তৈরি হচ্ছে ছবি। ছবিতে দীপিকার লুক ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে বলিপাড়া থেকে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। সেই ছবিকেই সামনে রেখে মনীশা প্রজাপতি আঁকলেন দীপিকার ছবি। সোশ্যাল সাইটে নিজের আঁকা ছবি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে ট্যাগ করেছেন দীপিকা-সহ গোটা ‘ছপাক’ টিমকে। প্রিয় অভিনেত্রী দীপিকার প্রতি উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমি রং দিয়ে খুব একটা ভাল আঁকতে পারি না, তবুও নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি গোটা ‘ছপাক’ টিমের তা পছন্দ হবে।” সঙ্গে ‘ছপাক’-এর জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি গোটা টিমকে। মনীশার আঁকা ছবি নেটদুনিয়াতেও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। লাইক, কমেন্টে ভরে গিয়েছে প্রোফাইল। দীপিকার বিভিন্ন ফ্যান ক্লাবের তরফেও অভিনেত্রীকে ট্যাগ করে শেয়ার হয়েছে মনীশার ছবি। কবে অভিনেত্রী নিজে সেই ছবি দেখে লাইক-কমেন্ট করবেন সেই আশাতেই রয়েছেন মনীশা।
[আরও পড়ুন: কেন ভোট দেবেন উর্মিলাকে? নিজেই জানালেন অভিনেত্রী]
প্রসঙ্গত, দীপিকার ‘ছপাক’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। ছবির জন্য প্রস্তুতি নিতে টানা ১০ দিন বেশ কিছুটা সময় নিয়ম করে লক্ষ্মীর সঙ্গে কাটিয়েছেন দীপিকা। এছাড়াও, অ্যাসিড আক্রান্ত বিভিন্ন মহিলার কেস স্টাডি করেছিলেন লক্ষ্মীর চরিত্র আত্মস্থ করার জন্য। ২০০৫ সালে লক্ষ্মী আগরওয়ালকে এক যুবক প্রেম প্রস্তাব দেয়৷ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন লক্ষ্মী৷ এই ‘অপরাধে’ ওই যুবক লক্ষ্মীর মুখ-সহ গোটা শরীর লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে৷ দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ এরপর অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হন৷ তাতেও দমেননি লক্ষ্মী৷ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ অ্যাসিড কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ একটি এনজিও-র হয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করেন লক্ষ্মী৷ আপাতত বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তান ও মাকে নিয়ে মুম্বইতে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে দিন কাটান লড়াকু লক্ষ্মী।
The post প্রিয় অভিনেত্রীর ছবি এঁকে নেটদুনিয়ায় প্রশংসিত অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণী appeared first on Sangbad Pratidin.