সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হলদিয়ার সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা এবার প্রকাশ্যে এল। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকেও। আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী রবিবার হলদিয়ায় দু’টি প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একই সঙ্গে শিলান্যাস হবে একটি প্রকল্পের। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান পুরোপুরি অরাজনৈতিক হলেও, তাৎপর্যপূর্ণ সেদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দুই মেদিনীপুরের সমস্ত সাংসদকে। অনুষ্ঠানের প্রায় এক সপ্তাহ আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে।তিনি যে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, সে কথাও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। এবার আমন্ত্রণের তালিকা দেখে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই খুলতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল! জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়]
দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশাপাশি শিশির অধিকারী, অভিনেতা-সাংসদ দেবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রোটোকল মেনেই রাজ্যে কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই কারণেই পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সব সাংসদকেই তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে দলবদলের আবহে এই পদক্ষেপ কেবলই নিয়মরক্ষার বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ শাসক দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে গোটা অধিকারী পরিবারের। শিশির অধিকারীকে একাধিক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। দলবদলের জল্পনা ইতিমধ্যেই উসকে দিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারীও। ১০ ফেব্রুয়ারি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা তমলুকের সাংসদের। যে খবর সামনে আসার পর জল্পনা শুরু হয়। এবার কি তাহলে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন শুভেন্দুর ভাই? তার আগে মোদির অনুষ্ঠানের দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের।
দিব্যেন্দু ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্যান্য সাংসদরা কেন্দ্রের আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলবদলের আবহে কোনও নয়া সমীকরণ তৈরি হয় কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।